সদ্য আঠারোতে পা দেওয়া বালিকাটি হঠাৎ করেই একদিন অনুভব করল, যে মানুষটিকে সে ভালোবেসে দুনিয়াদারি ভুলতে বসেছে—সেই মানুষটির সাথে তার বয়সের ব্যবধান অনেকটাই বেশি। গম্ভীর স্বভাবের পুরুষটি কেবল বইয়ের প্রেমে আবিষ্ট থাকে দিনরাত। শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে সারা বাড়ি উড়ে বেড়ানো ফড়িংয়ের মনের কথা বুঝতে পারে না সে। নাকি বুঝতে চায় না? অষ্টাদশী কন্যাটির নূপুরের ছন্দও তার হৃদয় অবধি পৌঁছায় না।কেন এই অবহেলা? ফড়িংয়ের নাম নিয়েও তার মনে বেশ প্রশ্ন। কোনো মেয়ের নাম ফড়িং কেন হবে? কী অদ্ভুত নাম! বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব নেই এমন মেয়ে তার ভীষণ অপছন্দ। অথচ এই গুরুগম্ভীর বইপড়ুয়া পুরুষটিকেই মন দিয়ে বসে আছে ফড়িং।তার ভাবনা, কোনো একদিন হয়তো এই গম্ভীর স্বভাবের পুরুষটির হৃদয়ে জায়গা করে নেবে সে। হয়তো কোনো একদিন ফড়িং নাম শুনে বিরক্তি প্রকাশ করা মানুষটিই তাকে ভালোবেসে জল ফড়িং বলে ডাকবে। কিন্তু কবে?