ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এই উপন্যাসটি আমি লিখতে শুরু করি ১৯৫৯ সালে, যখন গদ্য রচনার অভ্যেস আমার প্রায় ছিলই না। লিখতে লিখতে ভয় পেতাম, দ্বিধা ও সংশয়ে কলমের গতি বন্ধ হয়ে আসতো। সেইজন্যে একটানা লেখা হয়নি। মাঝখানে কিছুদিন দেশান্তরী হওয়ার জন্যও লেখায় ছেদ পড়ে। পরে যেখানে শেষ করেছিলাম, পত্রিকায় প্রকাশের কালে তাও অনেক বদলে যায়। প্রথম সংস্করণ ছাপার সময়ও অনেক কাটাকুটি করেছি। অর্থ্যাৎ প্রায় দশ বছরের ব্যাপ্তিতে এই উপন্যাসেটি লিখিত ও পরিমার্জিত হয়েছে। ভাষার সমতা সর্বত্র রক্ষিত হয়েছে কিনা , আমি জানি না।
গ্রন্থকারে প্রকাশিত আমার প্রথম উপন্যাসের নাম ‘আত্নপ্রকাশ’ । কিন্তু উপন্যাস রচনায় এইটিই আমার প্রথম প্রচেষ্টা। এই উপন্যাসে বর্ণিত জীবন কাল্পনিক নয়, কিন্তু চরিত্রগুলি সবকটিই গনগড়া। কয়েকজন সরল যুবক-যুবতীর নিষ্পাপ জীবন ও জীবনের অর্থ খুঁজে বার করার চেষ্টার কথা ফোটাতে চেয়েছি। এই বইয়ের কয়েকটি চরিত্র একই নামে আমার ‘আ্ত্নপ্রকাশ’ উপন্যাসেও উপস্থিত হয়েছে। -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
জন্ম : ২১ ভাদ্র ১৩৪১ (৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) ফরিদপুর, বাংলাদেশ। মৃত্যু : ৮ কার্তিক ১৪১৯ (২৩ অক্টোবর, ২০১২) কলকাতা, ভারত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম-এ টিউশনি দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। তারপর নানা অভিজ্ঞতা। ‘আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শখ : ভ্রমণ। দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। ‘কৃত্তিবাস' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক তিনি। প্রথম উপন্যাস : ‘আত্মপ্রকাশ।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ : ‘একা এবং কয়েকজন। ছােটদের মহলেও সমান জনপ্রিয়তা ছিল। প্রথম কিশাের উপন্যাস- ‘ভয়ংকর সুন্দর। ‘নীললােহিত’, ‘সনাতন পাঠক’ এবং ‘নীল উপাধ্যায়’ ছদ্মনামেও লিখতেন।
গ্রন্থসংখ্যা : দ্বিশতাধিক।
একাধিক কাহিনি চলচ্চিত্রে, বেতারে ও টিভির পর্দায় রূপান্তরিত ও পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।