ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এই উপন্যাসটি আমি লিখতে শুরু করি ১৯৫৯ সালে, যখন গদ্য রচনার অভ্যেস আমার প্রায় ছিলই না। লিখতে লিখতে ভয় পেতাম, দ্বিধা ও সংশয়ে কলমের গতি বন্ধ হয়ে আসতো। সেইজন্যে একটানা লেখা হয়নি। মাঝখানে কিছুদিন দেশান্তরী হওয়ার জন্যও লেখায় ছেদ পড়ে। পরে যেখানে শেষ করেছিলাম, পত্রিকায় প্রকাশের কালে তাও অনেক বদলে যায়। প্রথম সংস্করণ ছাপার সময়ও অনেক কাটাকুটি করেছি। অর্থ্যাৎ প্রায় দশ বছরের ব্যাপ্তিতে এই উপন্যাসেটি লিখিত ও পরিমার্জিত হয়েছে। ভাষার সমতা সর্বত্র রক্ষিত হয়েছে কিনা , আমি জানি না।
গ্রন্থকারে প্রকাশিত আমার প্রথম উপন্যাসের নাম ‘আত্নপ্রকাশ’ । কিন্তু উপন্যাস রচনায় এইটিই আমার প্রথম প্রচেষ্টা। এই উপন্যাসে বর্ণিত জীবন কাল্পনিক নয়, কিন্তু চরিত্রগুলি সবকটিই গনগড়া। কয়েকজন সরল যুবক-যুবতীর নিষ্পাপ জীবন ও জীবনের অর্থ খুঁজে বার করার চেষ্টার কথা ফোটাতে চেয়েছি। এই বইয়ের কয়েকটি চরিত্র একই নামে আমার ‘আ্ত্নপ্রকাশ’ উপন্যাসেও উপস্থিত হয়েছে। -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একজন বাঙালি পাঠক হয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে এড়িয়ে যাওয়া ভীষণ শক্ত। প্রথম আলো থেকে নীরা, কবিতা থেকে গল্প,উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, দুহাতে লিখেছেন।কেবল লিখেছেন বললে ভুল হবে! লিখেছেন, আলোচিত হয়েছেন,সমালোচিত হয়েছেন কিন্তু অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে থেকেছেন। অসংখ্য পাঠক তাকে তুলে নেয়, পাঠ করে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষার জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।
জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, ফরিদপুর জেলা
মারা গেছেন: ২৩ অক্টোবর, ২০১২, কলকাতা, ভারত
স্বামী বা স্ত্রী: স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (বিবাহ. ১৯৬৭–২০১২)
সন্তান: সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: আনন্দ পুরস্কার (১৯৭২, ১৯৮৯); সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫)
কুইজ: সুনীলের লেখা প্রথম বই কোনটি?