“ক্ষীরের পুতুল” বইয়ের শেষ ফ্ল্যাপের কথা: রাজামশাই বাণিজ্যে গেলেন । সুওরানীর কথা মত নিয়ে এলেন দামী দামী গয়না। আর শাড়ি । দুওরানী চেয়েছিলেন একটা বানর-ছানা । তাঁর জন্য এল তাই বানর। বানর হলে হবে কি, আসলে সে এক জাদুকরের দেশের মায়া-বানর।তাই সে মানুষের মত কথা বলে, ছেলের মত ভালবাসে বড় রানীমাকে, দুঃখিনী মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দিতে চায়। তা, সেই মায়া-বানর দারুণ বুদ্ধি খাটিয়ে কী করে রাজার মন ফেরাল বড় রানীর দিকে, কী করে দুওরানীর কোলে এনে দিল সত্যিকারের রাজপুত্র, কী করেই বা হিংসুটে সুওরানীকে ভোগ করলে যাবতীয় পাপের শাস্তি—তই নিয়েই এই অবাক-করা রূপকথা, ক্ষীরের পুতুল’ । আর, এ-গল্প যিনি শুনিয়েছেন, তিনিও এক অবাক-করা জাদুকর । ছবি তাঁর হাতে কথা, কথা হয়ে উঠত। ছবির মতন । আনন্দ সংস্করণ ক্ষীরের পুতুল’-এ বার পৃষ্ঠা চোখ-জুড়োনো রঙীন ছবি ।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নাম রিদয়, কিন্তু ছেলেটা আসলে ছিল হৃদয়হীন। যাকে বলে একেবারে বিচ্ছু ছেলে। নষ্টামি করেই দিন কাটত তার। মানুষ বল, পশুপাখি বল, কীটপতঙ্গ বলÑসব্বাই অতিষ্ঠ তার জ্বালাতনে। একদিন সেই বিচ্ছু রিদয় গণেশঠাকুরের পিছনে লাগল। এতে ভীষণ রেগেমেগে গণেশঠাকুর অভিশাপ দিলেন। দেখতে-না-দেখতে বুড়ো আঙুলের মতো ভয়ানক ছোট হয়ে গেল রিদয়। শেষাবধি যক হয়ে গেল সে। হায় হায়, কী করবে এখন রিদয়? গণেশঠাকুরের শাপে যক হয়ে যাওয়া রিদয় তারপর যা করল আর যা দেখলÑতাই নিয়েই এই কৌতূহলকর উপন্যাস, ‘বুড়ো আংলা’। এই কাহিনী দিয়ে লেখক পরিচয় করিয়ে দেন মাঠ-নদী-বন-পাহাড় দিয়ে গড়া অপরূপ এক বাংলাদেশের সঙ্গে। পরিবেশ বিষয়ক এমন অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস বাংলা শিশুসাহিত্যে বিরল।