ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ উপল তালুকদার তাঁর কবিতায় মূলত প্রেমের বৈচিত্র্য ও জটিলতার রসমূর্তি নির্মাণে প্রয়াসী হন, যা তাঁর কী সাপে দংশিলো লখাইরে কাব্যেও লক্ষ করা যাবে; যদিও প্রেমই এ কাব্যের একমাত্র বিষয় নয়। এ কাব্যের বেশ কয়েকটি কবিতায় জগৎ ও জীবন এবং তার মাঝে অন্তর্লীন রহস্যময় প্রকৃতি তথা আদিসত্তা অনুসন্ধানের চেষ্টা আছে, যেখানে কবি আত্মোপলব্ধিকে একটি দার্শনিক প্রজ্ঞায় উন্নীত করতে চেয়েছেন। এ সব ক্ষেত্রে কবির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ছায়াপাত ঘটেছে বলেই মনে হয়। এবং অন্তত একটি কবিতায় স্বাধীনতা-উত্তর কালের রাজনীতিদূষিত স্বদেশ ও সমকালীন জীবনভাবনা প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে : একজন কবির পক্ষে কালিক উত্তাপ থেকে গা বাঁচিয়ে চলা প্রায়শই অসম্ভব। কবিতার ভাষাবয়নে কবি সর্বদা একটি রীতির অনুসারী নন, বিষয়ের দাবিতে তিনি ভিন্ন ভিন্ন রীতির আশ্রয় করে তাঁর নির্মাণকলা সুস্থির হয় নি : উপরন্তু উত্তর-আধুনিক কবিতার প্রাকরণিক নিরীক্ষাও এতে বিধৃত হয়েছে।
সূচিপত্র * স্থল পদ্ম * তুমি * জবানবন্দি * সোনালি স্যান্ডেল * পুরাতন সংবাদ-তিন * পাখি * একজন মুক্তিযোদ্ধার কথকতা * চন্ডীদাসের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক * মহাকাব্যের শেষ পৃষ্ঠা * আলো, আমার আলো * ঘাসফুলের কথকতা * মৃত্যুবিষয়ক * মারফতি কাসিদা * অনুচ্চারিত পঙক্তিমালা * বিপ্রতীপ * রূপকথা * বেহুলামঙ্গল * মনসামঙ্গল : ২০১১ * পরাবাস্তব * দ্বিতীয় জন্মের ইতিকথা * জন্মান্ধের ডায়েরি * লালনগীতি * সান্ত্বনা-দুই * দিনের শেষে ঘুমের দেশে * পুত্রের প্রতি * বাঁশি * সর্প বৃত্তান্ত * কৃষকের গল্প * প্রতিশ্রুতি * বিবমিষা * সুবিনয় রায় সমীপেষু * লোকগীতি * উত্তর-আধুনিক গান * পুরাতনী * নবীনা * কক্ষ পথ * চতুর্মাত্রিক সমীকরণ * মনে মনে * ভালোবাসি বলে * সুইচ-বোর্ড * স্বরলিপি * কী সাপে দংশিলো লখাইরে