গবেষকদের মতে কোকিল গায়ক পাখি নয়, কারণ তার গলায় ’মিউজিক বক্স’ নেই। কাক গায়ক পাখি, কারণ তার গলায় ’মিউজিক বক্স’ আছে। এই গন্থের নাম-গল্প ‘কোকিল কাহিনী’ তে লেখক কোকিলকে গায়ক পাখির উপাধি দিতে গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষনে আন্তরিক চেষ্টা করেছেন। কোকিলের গায়ক পাখি হওয়ার যোগ্যতার বিষয়ে নানা যুক্তিও উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষই কোকিলকে গায়ক পাখি মনে করে, কাককে না। বাংলা সাহিত্যের অসংখ্য লেখায় বলা হয়েছে- ‘কোকিলের গান’। কখনো ‘কাকের গান’ বলা হয়নি। লেখক তাঁর গল্পে কোকিলের পক্ষে সামাজিক দাবি তুলে ধরেছেন। এখানেই এই গল্পের স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। ‘কোকিল কাহিনী’ গ্রন্থের প্রত্যেকটি গল্পে পাখি গবেষক মানজুর মুহাম্মদ পাখিকে মানুষের মনের কাছে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। গল্পগুলোতে পাখির নিরাপত্তা বিধানে পাখির প্রতি মানুষের নিখাদ ভালোবাসা আদায়ে লেখকের চিন্তা-কল্পনার অনন্য সৌকর্য উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। গল্পগুলোতে পাঠককে পাখির ভূবনে নিমগ্ন করার ক্ষমতা রয়েছে। নিমগ্ন পাঠক নিজেকে পাখি বিষয়ে নতুন করে আবিষ্কার করবে। পাখির জন্য পাঠকের মন কেঁদে উঠবে। লেখকের এমন পবিত্র স্বপ্ন নিশ্চিত বাস্তবায়ন হবে।