মেহেরজান হলো এক কিশোরী থেকে আটপৌরে গৃহবধু হয়ে ওঠার গল্প। মানুষ অপূর্ণ বাসনাকে চিরায়ত নিয়মের বাইরে গিয়েপূর্ণ করে, সমাজ কখনো সেটা গ্রহণ করে, কখনো নয়। মেহেরজান দেখেছে মুদ্রার দুই পিঠের গল্প।
সামাজিক উপন্যাসে চরিত্রকে মিশে যেতে হয় সময়কালের গহ্বরে, মেহেরজান স্বাধীনতা উত্তরকালের পারিবারিক চিত্রের সাথেসাথে সমসাময়িক আধুনিক যুগে টেনে এনে উপলব্ধির বুনন শৈল্পিক করতে চেয়েছে। তাই মেহেরজানে আবর্তিত গল্পটি বিশেষ চরিত্র ও সময়ে আঁটকে থাকেনি।
সাইফুদ্দিন রাজিব
শৈশব ও কৈশােরকাল কেটেছে মধুমতি নদীর তীর-ঘেঁষা পূণ্যভূমি টুংগীপাড়ায়। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কবি আবুল হাসানের মতাে গুণী ব্যক্তিত্বদের উপজেলার মাটির ঘ্রাণে স্বপ্ন বাঁধেন মানুষ হওয়ার—একজন সমৃদ্ধ সাহিত্যের মানুষ। তিনি গল্প বলতে ভালােবাসেন, মাটির গল্প, মানব পটের গল্প। গল্প করেন প্রেম, দ্রোহের বাইরেও সমাজের গল্প, সম্প্রীতির গল্প। বিশ্ব নাগরিক হিসাবে তিনি স্বপ্ন দেখেন সম্প্রীতির চেতনার কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাসাহিত্য ছড়িয়ে পড়ক বিশ্বজুড়ে। কবি ও কথা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আদর্শিক ছেলেটি ছুটতে ভালােবাসেন নানা দেশে, নানা সংস্কৃতিতে। ঘুরে বেড়িয়েছেন দক্ষিণ ভারতের অলিতে গলিতে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে রয়েছে তার গভীর যােগ। চিত্রশিল্পের গভীরতায় ডুব দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করেন কাহিনির দৃশ্যপট।