গৎবাধা কাহিনী নয়, সামাজিক বাস্তবতার নিরীখে কয়েকটি মানুষের জীবনের খন্ডিত অংশ, প্রেম, রোমান্টিকতা এবং দু:খবোধ তুলে ধরেছেন তিনি তার এই উপন্যাসে । সোহেলের চমৎকার উপস্থাপনা, সহজ শব্দের প্রয়োগ এবং সাবলীল ভাষার ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করবে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিস। উচ্চমধ্যবিও ঘরের মেয়ে মলির সাথে তার প্রেম। কিন্তু মলি একটি ফটোকমপিটিশনে অংশ নেবার জন্য একজন পরিচিত ফটোগ্রাফারের কাছে গেলে প্রতারনার শিকার হয় । তারপর অনাকান্খিত প্রেগনেন্সি । জটিলতা বাড়তে থাকে। সামাজিকভাবে নিগৃহিত হবার ভয়ে সে সবকিছু অকপটে জানায় আনিসকে। আনিসের সহমর্মিতা, ভালোবাসাও তাকে শেষপর্যন্ত কোন আশ্রয়ের জায়গা তৈরী করতে পারেনি। মলি শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় । উপন্যাসের উপজীব্য প্রেম হলেও এক অদ্ভুত ব্যন্জনা ছড়িয়ে থাকে সারা উপন্যাসে। গল্পের গাথুনি, জটিলতা এবং একইসাথে মজার মজার সংলাপ পাঠককে আনন্দ দেবে নি:সন্দেহে। খানিকটা ভিন্ন ষ্টাইল, ম্যানার পাঠককে চমকে দেবে। এবছর উপন্যাসে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পুরস্কার প্রাপ্ত মোস্তফা সোহেলের নতুন উপন্যাস ’মুখোশ’।