"আবদুল মুত্তালিব দুটি কারণে আনন্দিত। প্রথমটি আবাবিল বাহিনীর হাতে আবরাহা বাহিনীর পরাজয়, দ্বিতীয়টি পুত্রবধূ আমেনার সন্তানসম্ভবা হবার সংবাদ। কিন্তু তাঁর আনন্দ ম্লান করে দিয়ে হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলেন আদরের পুত্র আবদুল্লাহ।
শোকার্ত আমেনার কোল আলো করে পৃথিবীতে এল এক শিশু। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী তার নাম রাখা হলো মুহাম্মদ। দুধ-মা হালিমা অচিরেই বুঝতে পারলেন এ শিশু সাধারণ কোনো শিশু নয়। মা আমেনা মারা গেলেন। শিশুপৌত্রকে পরম আদরে কোলে তুলে নিলেন আবদুল মুত্তালিব। কিন্তু পৃথিবীতে তাঁরও সময় ফুরিয়ে এল। বালক মুহাম্মদের দায়িত্ব নিলেন চাচা আবু তালিব।
আবু তালিবের সঙ্গে সিরিয়া গেলেন বালক মুহাম্মদ। খ্রিষ্টান পাদ্রী বুহাইরা বালক মুহাম্মদকে দেখেই বুঝতে পারলেন তাঁর অপেক্ষার অবসান হয়েছে। আবু তালিবকে তিনি সতর্ক করে দিলেন—এই বালককে সাবধানে আগলে রাখতে হবে। তাঁর যে অনেক শত্রু।
শত্রুপরিবেষ্টিত হয়েই বেড়ে উঠলেন যুবক মুহাম্মদ। অথচ মক্কার বাতাসে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সুবাসের মতো। সেই সুবাসে মুগ্ধ হয়ে যুবক মুহাম্মদকে ব্যবসার দায়িত্ব দিলেন বিবি খাদিজা। যুবক মুহাম্মদের সুখ্যাতি আর্দ্র করল বিবি খাদিজার হৃদয়। বিয়ে হলো এই দুজনের।
নীলা হারুন
লেখক-নীলা হারুন
জন্ম-২৩অক্টোবর
পিতা- মোঃ হারুনুর রশিদ তালুকদার
মাতা- রাশিদা আক্তার
পূর্বপুরুষের নিবাস চাঁদপুর জেলায় হলেও নীলা হারুনের জন্ম এবং বেড়ে উঠা সিলেটের মায়াবী পরিবেশে।ছাপার অক্ষরে এই প্রথম লেখা না হলেও অলীকালোকে তার প্রথম প্রকাশিত একক গ্রন্থ।তার লেখা গল্পে ভারতে "মিস্টেক" নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে,যেটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে।চার ভাইবোনের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ লেখক ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়ণরত।
Title :
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্য ব্লেসড ওয়ান (হার্ডকভার)