ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মেয়েটির নাম মুক্তি। অসামান্য সুন্দরী। গ্রুপ থিয়েটারে রক্তকবরী নাটকে নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করেছে সে। কিন্তু সে দেখতে পায়, তাকে ঘিরে বাস্ববে তা-ই ঘটছে, নন্দিনীকে ঘিরে যা ঘটেছিল রক্তকরবী নাটকে। অন্য দিকে বাংলার অধ্যাপক রেজা স্যার ব্যাখ্যা স্যার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, রবীন্দ্রনাথ রক্তকবরী লিখেছিলেন আসলে তরুণী রাণুকে পাশে রেখে, রাজা হচ্ছেন কবি নিজে, রাণু নন্দিনী আর..... এক এক আশ্চর্ষ উপন্যাস, বাস্তবতা যেখানে পরিণত হচ্ছে কাহিনীতে, আবার কাহিনী ফিরে আসছে বাস্তবতার রূপে! মানুষ জীবনকে যে পথে চালিত করতে চায়, সব সময় কি তা-ই করতে পারে! নিয়তি নামের আরেক নাট্যকারও কি চালিত করে না পৃথিবীমঞ্চের কুশীলবদের! কী হলো বায়েজিদ আর মুক্তির প্রেমের পরিণতি? কী হলো তৌফিক নামের খ্যাতিমান নায়কের একনিষ্ঠ ভালোবাসার?
আনিসুল হক
আনিসুল হক ৪ মার্চ ১৯৬৫ সালে রংপুরের নীলফামারীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল, এবং তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেও ১৫ দিনের মধ্যে সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি একটি প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সিটি আনন্দ-আলো পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী পদক, সুকান্ত পদক, এবং ইউরো সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেছেন।