ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ইমদাদুল হক মিলনের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘ও রাধা ও কৃষ্ণ’। ১৯৭৮ সালে লেখা। বাংলা বাণী গ্রুপের সিনেমা বিষয়ক সাপ্তাহিক কাগজ ছিল ‘সিনেমা’। সেই পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল ‘ও রাধা ও কৃষ্ণ’। ওই সময়কার তরুণ তরুণীদের জীবনযাপন এবং প্রেম ভালোবাসা নিয়ে লেকা। উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোর ভেতরকার এক ধরনের চেহারাও ফুটে উঠেছিল এই উপন্যাসে। প্রকাশের সঙ্গে সাড়া পড়ে গিয়েছিল তরুণ সমাজের। ওই সময়কার জন্য একেবারেই আধুনিক, একেবারেই নতুন ধরনের লেখা। প্রকৃত অর্থে ‘ও রাধা ও কৃষ্ণ’ থেকেই শুরু হয়েছিল ইমদাদুল হক মিলনের জনপ্রিয়তা। এই উপন্যাস আজকের তরুণ তরুণীদের জন্যও এক অতি আধুনিক উপন্যাস। অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের জন্য গভীর আবেগ এবং প্রেমের উপন্যাস। যেকোনও প্রেমিক প্রেমিকার জন্য ‘ও রাধা ও কৃষ্ণ’ এক অপরিহার্য পাঠ্য উপন্যাস। এই উপন্যাস কখনও পুরনো হবে না।
ইমদাদুল হক মিলন
৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ বিক্রমপুরে জন্ম। প্রথম গল্প। ‘বন্ধু’ ১৯৭৩। প্রথম উপন্যাস যাবজ্জীবন ১৯৭৬। বাংলাদেশে সাহিত্যের পাঠক সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা। তিন পর্বের দীর্ঘ উপন্যাস ‘নূরজাহান’ কালজয়ী সাহিত্য হিসেবে গণ্য। দেশ বিদেশে বহু পুরস্কারে সম্মানিত। বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৯২। তাকেশি কায়েকো মেমােরিয়াল এশিয়ান রাইটারস লেকচার সিরিজে বাংলা ভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে অংশগ্রহণ ২০০৫। ভারতের আইআইপিএম সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার ২০১২।