ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে সন্ত্রাস সমাজে আধিপত্য কায়েম করেছে মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই। এবাদ ডাকাত এই আধিপত্যের একটি নাম। গ্রামের সরল এক মুক্তিযোদ্ধা রূপান্তরিত হয়েছিল দুঃসাহসী অন্ধ যোদ্ধায়। সর্বহারা এবাদবাহিনীর লিডার হিসেবে উত্তরবঙ্গের মতো উত্থান ঘটেছিল এবাদ ডাকাতের। এ সময়ের শক্তিমান কথাশিল্পী মঞ্জু সরকারের দক্ষ হাতে ‘অন্ধ যোদ্ধা’ হয়ে উঠেছে যেমন সময়ের বিশ্বস্ত দলিল, তেমনি একজন এবাদ ডাকাতের উত্থান ও পতনের মর্মস্পর্শী করুণ কাহিনী। শ্রেণীশত্রু খতমের অভিযানে গিয়ে বড়বাড়ির চৌরি নিচে এবাদ আবিষ্কার করেছিল পলাতক কিশোরী মুক্তাকে। মুক্তার আতঙ্ক-বিহ্বল রূপ মুহূর্তের জন্য ভাবান্তর এনেছিল হিংস্র ডাকাত-সত্তায়। বরাভয় দিয়ে ভালবেসে চুম্বন করেছিল এবাদ সেই অনিন্দ্যসুন্দর কিশোরীকে। আন্ডারগ্রাউন্ড জীবনের এই মধুর স্মৃতিকে ভুলতে পারে নি এবাদ। জেল থেকে বেরুনোর পর যুবতী মুক্তার প্রতিবাদী রূপ দেখে মুক্তার প্রেমে অন্ধ এবাদ মুক্তাকেই জীবনসঙ্গী করার জন্য জীবনকে বাজি রেখেছিল। সন্ত্রাসী কায়দায় মুক্তাকে অপহরণ এবং বিয়েও করেছিল। কিন্তু মুক্তা মেনে নিতে চাইলেও সমাজ কি মেনে নিতে পারে এমন অসঙ্গত জবরদস্তিমূলক মিলন? চোখ উপড়ে নেওয়ার পরও এবাদ ডাকাত তাই এখনও মুক্তাকেই খুঁজে বেড়ায়......