মেয়েটা কেঁদেই চলেছে। আমি কখনােই মানুষের কান্না সহ্য করতে পারি না। আর আল্লাহ আমার কাছেই সবাইকে কাঁদতে পাঠায়! কী করবাে আমি? কী বলে সান্তনা দেবাে? কিছু ভেবে না পেয়ে বললাম, 'আচ্ছা আচ্ছা.. এখন এসব বাদ দাও, ঘুমাও।" আমি লাইট অফ করে শুয়ে পড়লাম। ও একই ভাবে কাঁদতে থাকলাে। অদ্ভুত তাে! এই মেয়ে কান্না থামায়কেন? কী হবে কী না হবে তা না ভেবে আমি ওর হাতটা ধরে ওকে কাছে টেনে এনে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। কিছু বললাম না। শুধু ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম অনেকক্ষণ ধরে। এটুকু আমি করলাম শুধুমাত্র একজন মানুষ হিসেবে। ও আমাকে ধরলাে না। কেমন জড়ােসড়াে হয়ে রইলাে। একসময় ওর কান্নাটা থেমে গেলাে। পুরুষ মানুষকে আল্লাহ দুটো ক্ষমতা অনেক বেশী করে দিয়েছেন। এক নারীকে কাদানাের ক্ষমতা আর দুই নারীর কান্না থামানাের ক্ষমতা।
মৌরি মরিয়ম
মৌরি মরিয়ম। পিতা আজিজুল হক, মা মনজু বেগম। জন্ম ১৯৯১ সালের ২৫ মে। পৈতৃক নিবাস বরিশালের গৌরনদী। তাঁর ছােটবেলা কেটেছে রাজধানীর ধানমন্ডিতে। ২০০৯ সালে ধানমন্ডি গার্লস স্কুল থেকে। মাধ্যমিক ও ২০১১ সালে বদরুন্নেসা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে স্নাতক করেছেন। ছােটবেলা থেকেই বই পড়া তাঁর নেশা। ধীরে ধীরে নেশাটা লেখালেখির দিকে মােড় নেয়। তাঁর লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল স্কুল ম্যাগাজিনে লেখার মাধ্যমে। বর্তমানে চাকুরীরত থাকলেও লেখাই তার ধ্যানজ্ঞান সবকিছু। লেখালেখির মাধ্যমেই তিনি থাকতে চান আজীবন।। "অভিমানিনী" তার দ্বিতীয় বই। ২০১৮ সালের অমর। একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই "প্রেমাতাল" । প্রথম বই দিয়েই তিনি অগনিত পাঠকের মন জয় করে নেন। অভিমানিনীও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করা যায় ।