শিক্ষার্থীকে কোনাে বিষয় শেখানাের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলাে তাকে ওই বিষয় পাঠে আগ্রহী করে তােলা। তাহলে সে নিজেই বিষয়টি শেখার এবং গভীরে ঢােকার উপায় খুঁজে নেবে। জনপ্রিয় বিজ্ঞানের লেখাগুলােও মানুষকে বিজ্ঞান পাঠে উৎসাহী করে এবং ক্রমান্বয়ে বিষয়ের গভীরে নিয়ে যায়। | ‘সকলের জন্য পদার্থবিদ্যা সিরিজের বইগুলােকে চারটি খণ্ডে ভাগ করে দুইটি বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ সূত্রগুলােকে সন্নিবেশিত করা হয়েছে, যেগুলাের উপর ভিত্তি করে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান দাঁড়িয়ে আছে। গতির সূত্রাবলি, তাপগতিবিদ্যার সূত্রসমূহ, তড়িৎপ্রবাহ, তড়িৎ চুম্বক ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণকারী সমীকরণগুলাে, কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা, আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রভৃতি পদার্থবিদ্যার গবেষণার ভিত্তি বলে বিবেচনা করা যায়।
| সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলাে প্রাকৃত বিজ্ঞানের নিয়মের মতােই। অজস্র পরীক্ষা ও নিরীক্ষার সাহায্যে বহু মৌলিক সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পদার্থবিদ্যার। | বিজ্ঞানীদের বহু বছরের গবেষণায় পদার্থবিদ্যা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। পদার্থবিজ্ঞান আজ প্রকৌশল শাস্ত্র, প্রাকৃত বিজ্ঞান, ভেষজ বিজ্ঞান, মানবিক বিজ্ঞান প্রভৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে গেছে।
যাদের পদার্থবিদ্যার প্রাথমিক পাঠ রয়েছে তাদের মধ্যে যারা পদার্থবিজ্ঞান আবার পড়তে আগ্রহী, তাদের বিষয়টি চিন্তা করে এই বইয়ের পাঠ সাজানাে হয়েছে। | কিতাইগারােদস্কি বিভিন্নভাবে বারবার বলেছেন বিদ্যালয়ে পাঠ্য করার অভিপ্রায়ে এই বই লেখা নয়। বইটির উদ্দেশ্য হলাে- তড়িৎ চুম্বকীয় ক্ষেত্রের এবং কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলাের কাজ করার ধরন দেখিয়ে দেওয়া, পরে রয়েছে পরমাণু কেন্দ্রের গঠন নিয়ে আলােচনা। তারপর রয়েছে পৃথিবীতে শক্তির উৎসগুলাের পাঠ।