ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ গল্পে লেখক বাস্তব সময় ও প্রথাকে ভেঙ্গে দিয়ে উত্তর আধুনিককালের কোন একটি লগ্নে বসে বর্তমান ও নিকটতম ভবিষ্যতের নানা অসঙ্গতি আর সামাজিক অবক্ষয়ের বিভিন্ন পর্যায় বর্ণনা করেছেন। গল্পের প্রধান চরিত্র সোহাগ, সে সর্বকালের সমসাময়িক প্রতিনিধি। তার চরিত্র সময়ের সাথে নানা আঙ্গিকে পরিবর্তন হয়েছে। সোহাগের চরিত্রের মাধ্যমে সামাজিক প্রভাবের ওপর নির্ভর করে যেভাবে মানুষের চরিত্র বিকৃত হয়, তার রূপ দেখানো হয়েছে।গল্পে ওঠে এসেছে দ্রুত পরিবেশের পরিবর্তন ও মানবজীবনের স্বাভাবিক নিয়ম ভঙ্গের সাথে সাথে মানুষের অনৈতিক আচরণের দিকগুলো।
সিস্টার ও রনি, তারা দুজন উত্তর আধুনিককালের প্রতিনিধি, তাদের চরিত্রের মাধ্যমে সর্বকালের মানুষের প্রতিনিধিদের দ্বান্দ্বিক অবস্থানগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র জরিকে দেখানো হয়েছে সামাজিক অপরাধী হিসেবে। তার অপরাধের মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজন ও চাওয়া-পাওয়ার একটি ছক আঁকা হয়েছে।লেখক বোঝাতে চেয়েছেন- মানুষ কেন, কখন এবং কিসের জন্য অপরাধ করে। আর সেই অপরাধ সময়ের সাথে কতটুকু মারাত্নক। তাছাড়া নারী-পুরুষের অসম সম্পর্কের মাধ্যমে একটি সংকটাপন্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার ভেতর থেকে একটি সুন্দর , সুস্থ সমাজ সৃষ্টির প্রচেষ্টা করেছে। এই গল্পটি প্রত্যেক সমাজসচেতন মানুষকে নতুন করে নাড়া দিতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।