এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা এগারো। পাঠক মহলে রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা সম্প্রতি
ফ্ল্যাপঃ
ঘড়িতে রাত ১২:৫৬। অনেকক্ষণ যাবৎ ফোনটা বেজে চলেছে, ফোন ধরার সাহস পাচ্ছে না তিতির। হাত-পা অসাড় হয়ে আসছে কারণ মুগ্ধ ফোন করেছে। একটা সময় আর থাকতে না পেরে ধরেই ফেলল, "হ্যালো" মুগ্ধ গম্ভীর গলায় বলল, 'যাক, অবশেষে দয়া হলো ফোনটা ধরার। 'আমি ফোনের কাছে ছিলাম না।' “আচ্ছা? তাই নাকি! আর সেদিন যে সারা রাত কল দিলাম, সেদিন ধরোনি কেন?' মুগ্ধর গলায় স্পষ্ট রাগ। তিতির দায়সারা উত্তর দিলো, 'ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।' 'মিথ্যে বোলো না, অন্তত আমার কাছে।' 'আসলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তা না হলে তো পরদিন সকালের ফোনটাও ধরতাম না।' 'সকালে ধরে লাভ কী? অফিসে থাকলে কি কথা বলা সম্ভব? 'এখন কী বলবে বলো? মুগ্ধ এবার গলা নামিয়ে বলল, 'কাল কি তুমি আমাদের এদিকে এসেছিলে?” চমকে উঠল তিতির, হ্যাঁ সে গিয়েছিল শুধু দূর থেকে মুগ্ধকে একবার দেখার জন্য। কিন্তু মুগ্ধ তো তাকে দেখেনি। তাহলে? অবাক হবার ভান করে বলল, 'কই না তো। কেন জিজ্ঞেস করছ?' 'কাল সকালে যখন বেরিয়েছি, কেন যেন মনে হচ্ছিল তুমি ওখানে ছিলে!" 'না, আমি কাল সকালে বাসাতেই ছিলাম। *ও! আমি অবশ্য কোথাও তোমাকে দেখতে পাইনি। তবু মানুষের মন তো, অনেকসময় অনেক কিছু ভেবে ফেলে। তাছাড়া ইদানীং তোমাকে বড় বেশি মনে পড়ে।
মৌরি মরিয়ম
মৌরি মরিয়ম। পিতা আজিজুল হক, মা মনজু বেগম। জন্ম ১৯৯১ সালের ২৫ মে। পৈতৃক নিবাস বরিশালের গৌরনদী। তাঁর ছােটবেলা কেটেছে রাজধানীর ধানমন্ডিতে। ২০০৯ সালে ধানমন্ডি গার্লস স্কুল থেকে। মাধ্যমিক ও ২০১১ সালে বদরুন্নেসা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে স্নাতক করেছেন। ছােটবেলা থেকেই বই পড়া তাঁর নেশা। ধীরে ধীরে নেশাটা লেখালেখির দিকে মােড় নেয়। তাঁর লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল স্কুল ম্যাগাজিনে লেখার মাধ্যমে। বর্তমানে চাকুরীরত থাকলেও লেখাই তার ধ্যানজ্ঞান সবকিছু। লেখালেখির মাধ্যমেই তিনি থাকতে চান আজীবন।। "অভিমানিনী" তার দ্বিতীয় বই। ২০১৮ সালের অমর। একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই "প্রেমাতাল" । প্রথম বই দিয়েই তিনি অগনিত পাঠকের মন জয় করে নেন। অভিমানিনীও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করা যায় ।