ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এত হাঁটাহাঁটি এত দূর আমি কী করে এসেছি বুঝিনি তো কোনোদিন পিছে ফিরে দেখি পথের চিহ্ন মুছে গেছে চিরদিন
জীবন মানে তো পথের কাব্য পথেই হয়েছে শেষ হাত দিয়ে দেখি আমার কাছে রয়েছে বাংলাদেশ।
এদেশের কাদা ও এদেশের মাটি শরীরে লেগেছে রোজ আমি তো ছিলাম আমার মতোই তোমরা নাওনি খোঁজ এখন যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু বিদায়ের বাঁশি বাজে আমার কাছেই নতুন পোশাক সাজব কি নব সাজে?
বিদায়ের দিন বিজয়ের দিন দরজায় এসে খাড়া বুকের ভেতরে প্রাণের পক্ষী হয়েছে পাগলপারা
সূচিপত্র *সৃজন ছাড়া কোন কাজ নেই *মেলায় হারানো বালক *দেহ ঘড়ি *জলতরঙ্গ *আমার বেদনা *বিচ্ছেদ *আমার উদয়ান্ত *আগুন আর কিছু না *অবিশ্রাম অনন্তকালের দিকে *ভবিষ্য-কথা *কাঁপুনি *যাত্রী *প্রেমপত্র পল্লবে *হৈ বৈশাখ, হে ঝঞ্ঝাবায়ু *ফাল্গুন আসে *ভাসান *এইতো আমি *সোনার টাকা *স্বাধীনতার কবিতা *ছায়া হয়ে গেল মায়া *আমি রাজাধিরাজ *চেহারা *গন্তব্যের কাছাকাছি *চোখের পলক পড়ে না। *আমাদের মিছিল *অন্তিমের পথ *এখন যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু *বৃক্ষের বাসনা *দিন চলে যায়
আল মাহমুদ
আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ব্যবসায়ী পরিবারে ১১ জুলাই ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। একুশ বছর বয়স পর্যন্ত এ শহরে এবং কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার অন্তর্গত জগৎপুর গ্রামের সাধনা হাইস্কুলে এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাইস্কলে পড়াশােনা করেন। এ সময়েই লেখালেখি শুরু।
তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার তিরিশ দশকীয় ভাবধারায় ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ দৃশ্যপট, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের কর্মমুখর জীবনচাঞ্চল্য ও নর-নারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহের বিষয়কে অবলম্বন করে আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামােয় অত্যন্ত স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের সুন্দর প্রয়ােগে কাব্যরসিকদের মধ্যে নতুন পুলক সৃষ্টি করেন। তিনি ১৯৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ।
১৯৭৫-এ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহ-পরিচালক পদে যােগদান করেন। পরে ওই বিভাগের পরিচালকরূপে ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে তিনি অবসর নেন।
কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের বই মিলিয়ে আল মাহমুদের বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশাের্ধ। আল মাহমুদ বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদকসহ বেশ কিছু সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সৈয়দা নাদিরা বেগম তার সহধর্মিণী। তাঁদের পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যা।