ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আধুনিক অনিন্দ্য-সুন্দর বৈচিত্র্যময় গোলাপের জন্ম ঊনবিংশ শতকে। আর আমাদের উপমহাদেশে স্বাভাবিক সুপ্রাচীন বনগোলাপের নাম সেঁউতি। ঝোপালো গাছ, সাদা বা সামান্য গোলাপি সিঙ্গল ফুল এবং নির্গন্ধ। আমাদের স্পিশিজ বনগোলাপ জন্মায় সিলেট জেলার পশ্চিম অংশে ও ময়মনসিংহে। গোলাপের জন্ম মানুষের জন্মের কয়েক কোটি বছর আগে। ভূগঠনের তৃতীয় পর্বে আমাদের এই প্রিয় গোলাপবালার জন্ম। জাপান-চিনে এর ফসিল পাওয়া যায আড়াই কোটি বছরের। গবেষকদের মতে গোলাপের সূচনা অন্তত ছয় কোটি বছর আগে। হোমারের ইলয়াদ ও ওদিসিতে গোলাপ আছ আফ্রোদিতি নিহত হেক্টরের সারা শরীরে লেপে দিয়েছিলেন গোলাপের মলম। খ্রিষ্ট পূর্ব দু’হাজার বছর আগে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের নসোস প্রসারেদ ফ্রেসকোতে গোলামের চিত্র পাওয়া যায়। চিনে পাঁচ হাজার বছর ধরে গোলাপেমর চাষা হচ্ছে বলে জানা যায়। আধুনিক উন্নত জাতের গোলাপেরা সাত বো- হাইব্রিড-টি, ফ্লোরিবান্ডা, পলিয়েন্থা, গ্র্যানডিফ্লোরা, মিনিয়েচার, ক্লাইম্বার ও র্যাম্বলার। এদের প্রত্যেকের আছে অজস্র সদস্য। এসব কথা, বাংলাদেশে গোলাপচর্চা, গোলাপের টুকিটাকি নিয়ে ‘গোলাম’, একটি অনন্য বই।
বিপ্রদাশ বড়ুয়া
বিপ্রদাশ বড়ুয়া, জন্ম ২ আশ্বিন ১৮৬২ শকাব্দ (২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪০) চট্টগ্রামের ইছামতী গ্রামে। পড়াশুনা চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গল্প, উপন্যাস, প্রকৃতি ও বিচিত্র বিষয়ে লেখেন। পাখি, সমুদ্র ও বৃক্ষ, বনমর্মরভূমি, ভ্রমণ, গবেষণা-বিশাল লেখার ভুবন। বাংলাদেশের আনাচ-কানাচ উঠে আসে দৈনিক পত্রিকার কলামে। রাতের রেলগাড়িতে ছায়াপথে ভ্রমণ এই বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিশাল রাজ্যে প্রবেশের ছোট্ট জানালা। সেই থেকে শুরু। তার ফসল দৈনিক পত্রিকার সহজ-সরল লেখাগুলো। প্রকৃতির বিচিত্র বিষয় নিয়ে এক ডজনের বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। গাছপালা, তরুলতা ও বৃক্ষ ও নিসর্গ, নিসর্গের খোঁজে, প্রকৃতিও প্রতিশোধপরায়ণ, বিপন্ন বাংলাদেশ ও বন্ধু বৃক্ষ প্রভৃতি গ্রন্থে তাঁর মনোভঙ্গি ধরা পড়ে। এসব লেখায় ছড়িয়ে আছে আকাশ ও নক্ষত্রপ্রীতি। ১৯৯১-তে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৪১১ সনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ। তাঁর তিনটি বই অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার লাভ করে। পেয়েছেন রেডি টুডে প্রবর্তিত প্রথম গ্রিন এওয়ার্ড ২০১০।