স্মৃতিভ্রষ্ট বাবা, বিপদগামী ভাই আর কলেজ পড়ুয়া ছোট বোনকে নিয়ে মারুফ আহমেদের পৃথিবী। জীবনের চাওয়া পাওয়ার কোনো হিসাবই যখন মেলেনা তখন অদিতির ভালোবাসার আহবানে সাড়া দেবার কথা কল্পনাও করতে পারে না মারুফ। বরং সোনার হরিণের মতো ‘অমল ধবল’ একটি চাকরির খুঁজেই প্রাণান্ত পরিশ্রম তার । স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গ বেদনার মধ্যে জীবনটাকে মনে হয় যেন অন্তহীন এক মধ্য রাত। তবে সে জীবনও একদিন মুখর হয়ে ওঠে বৃষ্টির ছন্দে । সেদিন ।অনন্ত মধ্যরাতে সেই বৃষ্টির গল্প, স্বপ্ন ভঙ্গের দোলাচলের মধ্যে নতুন করে স্বপ্ন দেখার গল্প।
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।