গল্প হলো জীবনের লগ্ন কিংবা মুহূর্তের চিত্র। তারও রূপ বদলাচ্ছে। শোনা থেকে পৌঁছে গেছে দেখানোয়; উপন্যাস হয়েছে চলচ্চিত্র। কিন্তু এরপর? সে-ও এক গল্প। মূলে প্রত্যাবর্তনের চিরায়ত চক্র।
গল্প জীবন জিজ্ঞাসাও বটে। কৌশল এবং ঢং শুধু ভিন্ন ভিন্ন। নিরীক্ষা ও নিজস্বতার রূপেই তার পরিচয়। তাই এর জগত আলাদা আলাদা সৌরজগত-আলোকবর্ষের দূর-দুরান্তরে।
কুড়ি বছরের কালক্রম— চুরাশি থেকে দু’হাজার তিন— সময়ের তির্যক আলোকপাতে উজ্জ্বল অনেকগুলো গল্পের সন্নিবেশ নানা-বিচারে তাৎপর্যপূর্ণ। অন্তত তিনটি গল্প রাজারোষে রক্তাক্ত; নির্যাতন -ক্লান্ত ও আইনের মারপ্যাচে নিষিদ্ধ!
এ গল্প সংকলন শ্রেষ্ঠ কোন্ বিচারে— নিরিখের ভার পাঠকের ওপরই রইল!
শুধু এটুকু বলা যায়: এ কোনো সরল প্রেমকাহিনী নয়, নয় কোনো দর্শনের কানাগলি; এ জীবন-নদী— অর্থাৎ বাংলাদেশ।
বুলবুল সরওয়ার
জন্ম গোপালগঞ্জে। ১৯৬২’র ২৭শে নভেম্বর। ৯ ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ। মিশনারি স্কুলের প্রভাবে অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা তার মজ্জাগত। পরিবারেও ছিল শিল্প-সাহিত্যের আবহ। বিশেষত বাবার প্রভাব এবং বড় তিন ভাইয়ের উৎসাহ তাকে শেষপর্যন্ত সাহিত্যেই থিতু করে দিয়েছে। লেখালেখি শুরু শৈশবে। আজাদ-ইত্তেফাক থেকে শুরু করে দেশের অধিকাংশ দৈনিক ও সাময়িকীতে লিখেছেন। কলকাতা-আসামেও সমান জনপ্রিয়। ১৯৮৯তেই ভারত থেকে প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘হিটলারের লাশ’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৬। লিখেছেন কবিতা, গল্প, শিশুসাহিত্য, পত্রকথা। অনুবাদও কম নয়; ১৫টি বিশ্বসেরা উপন্যাস। ভ্রমণে তার বিশেষ মুনশিয়ানা। জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক বুলবুলের প্রিয় বিষয় চিঠি, আড্ডা, কফি এবং নজরুল। স্ত্রী দিলরুবা মনোয়ার, কন্যা আয়েশা তাজিন মাশরুবা ও পুত্র আয়হান নাভিদ নওরোজকে নিয়ে বাস করেন ঢাকার শ্যামলীতে।