জব্বার মুক্তিকে আমি তোর কাছ থেকে সত্যিই কেড়ে নিতে চাইনি । তোর বাসায় গিয়ে ওকে দেখে, হঠাৎ আমার মধ্যে পিতৃত্ব জেগে উঠেছিল। আমি... এতদিনের জানা, এতদিনের বিশ্বাস... সব শেষ। সেমন্তী জেনে গেছে আমি ওর বাবা নই ।
মানলাম সেমন্তীকে তুই বাবার স্নেহ দিয়ে মানুষ করেছিস। ওকে অনেক ভালোবাসিস। তাহলে কেন ও দ্বারে দ্বারে নাচ বিক্রি করতে যেত? হ্যাঁ, মুক্তি তোর সংসারের জন্য মদ-গাঁজার আসরে নাচ বিক্রি করত। যৌবনের ফেরি করে বেড়াত কেন? আমি মানছি, জন্ম আমি দিলেও লালন-পালনের ভার তুই নিয়েছিলি। তাই বলে আমার একমাত্র মেয়েকে...
এই আকবর চৌধুরীর মেয়েকে... তোর চেয়ে আমার বুকের কষ্টটা অনেক বেশি। আমার হৃদয়ের জ্বালা অনেক বেশি। কারণ ওর শরীরে আমার রক্ত। ও আমার শরীরের অংশ। লালন-পালন করলেই বাবা হওয়া যায় না।
সন্তানকে আগলে রাখতে জানতে হয়। আমার মুক্তিকে কি আগলে রাখতে পেরেছিস? তাহলে কি খোকা টাকা পাঠাত না? শিমু কি মিথ্যা বলতো? সব দায়িত্ব এতদিন ও-ই নিয়ে খোকাকে মহৎ বানাতে চেষ্টা করেছে। এতটা ত্যাগ কেন করলি মা?
নিশাত ইসলাম
নাম : নিশাত ইসলাম
জন্ম : ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮২
শৈশব : চট্টগ্রাম
শিক্ষা : এমবিএ, আইআইইউসি (ঢাকা ক্যাম্পাস)।
পেশা : শিক্ষক, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট
পুরস্কার : চাঁদপুর গ্রুপ থিয়েটার পরিষদের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার-১৯৯৯। সাহিত্যে অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার-২০০৭ প্রদান করে আইআইইউসি (ঢাকা ক্যাম্পাস)। বাংলার সংগীত সংগঠন কর্তৃক প্রদত্ত সেরা লেখিকা পুরস্কার-২০১৭। ইনডেক্স মিডিয়া স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০১৭।
প্রকাশিত গ্রন্থ : কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনি ও উপন্যাস ৩২টি।
উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : ক্ষমা, ভালােবাসার কাজল, এখনাে অনেক রাত, নষ্ট জীবনের কষ্ট, নীরব ভালােবাসা, বিবর্ণ বেলা, ভালােবাসি তাই, পালকি, নষ্ট মন, ভালােবাসার সাত রং, সূর্যোদয়ের দেশে, মন (১ম ও ২য় খণ্ড)। তবু ভালােবাসি, অন্তরে শুধু তুমি, জয় বাহিনী, ভূত মামা।