সেই দেবী, বহুকাল ধরে যার অপেক্ষায় আছি আমরা। ধর্মকে রক্ষা করবে সে। আর রক্ষা করবে এই আমাদের।
খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০০ অব্দ,
ভারতবর্ষ
...বিভক্তি, বৈষম্য, অসন্তোষ ও দারিদ্রতায় বিজড়িত। জনসাধারণ মনেপ্রাণে শাসকদের ঘৃণা করে। হেয় জ্ঞান করে স্বার্থপর ও দুর্নীতিগ্রস্থ অভিজাতদের। মহামারীর ন্যায় সর্বত্র বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষায়। প্রতিনিয়ত বিভাজনের সুযোগ নিচ্ছে বহিরাগতরা। লঙ্কার রাজা, রাক্ষসরাজ রাবণ ক্রমে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তার বিষাক্ত ছোবলে জর্জরিত হতভাগ্য সপ্তসিন্ধু।
দুই শক্তিশালী গোষ্ঠী—দেবতাদের আশির্বাদতুষ্ট পবিত্র ভূমি ভারতের রক্ষাকর্তারা, শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। অনেক অবক্ষয় সহ্য করেছে তারা। আর নয়। এই সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে এখন প্রয়োজন একজন রক্ষাকর্তার। শুরু হলো অনুসন্ধান। পরিস্থিতি যখন খুবই সমীচীন, তখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় জন-মানবশূন্য মাঠের মধ্যে খুঁজে পাওয়া গেল এক শিশুকে, যাকে ঘিরে রেখেছিল একদল নেকড়ে। আর একটা শকুন বাচ্চাটাকে রক্ষা করে যাচ্ছে রক্তপিপাসু নেকড়েগুলোর হাত থেকে। বিরানভূমিতে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির ঠাই হলো সপ্তসিন্ধু কতৃক উপক্ষিত, ক্ষমতাহীন রাজ্য মিথিলায়। পরিচয়হীন বাচ্চাটিকে দত্তক নিলেন মিথিলার অধিপতি ও তার পত্নী। কেউ ভাবেনি এই শিশুটি একদিন অনেক বড়ো কিছু করবে। কিন্তু তারা ভুল করেছিল। কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটা মোটেও কোনো সাধারণ মেয়ে নয়। এই মেয়েটিই হলো সীতা।
রোমাঞ্চকর এক অভিযান, যাতে রয়েছে এক অনাথ শিশুর বেড়ে ওঠার গল্প, যে নিজের যোগ্যতা বলে একটা সময় হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী। আর পরবর্তীতে একজন দেবী। যাত্রা শুরু হোক অমীশের এই নতুন সৃষ্টির সাথে...
রামচন্দ্র সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস আপনাকে নিয়ে যাবে সুদূর অতীতে। একেবারে শুরুতে...
অমীশ ত্রিপাঠি
Title :
সীতা ওয়ারিয়র অব মিথিলা (বই ২- রামচন্দ্র সিরিজ)