ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ পবিত্র বাইবেল বর্ণিত তৎকালের রাষ্ট্র এবং সমাজকে ‘স্বর্গের প্রেতাত্মা’ উপন্যাসের বিষয়গত আঙ্গিকের আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ণিত চরিত্রগুলোর নাম নির্বাচন করা হয়েছে প্রেরিত যিশুখ্রিস্টের দীর্ঘ বংশ-তালিকা থেকে। পাপক্লিষ্ট রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতীক করা হয়েছে বাইবেল-বর্ণিত তৎকালীন ইহুদিরাষ্ট্রের সমাজ-বাস্তবতা এবং মহাপ্রলয়ের লক্ষণগুলোক। যিশুর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে নতুন সমাজের জন্ম-যন্ত্রণা এবং স্থিতাবস্থাকে টিকিয়ে রাখার মধ্যে দ্বন্দ্বময় বাস্তবতায় বাংলাদেশের অশুভ এবং শুভ-শক্তির সংঘাতকেই নির্দেশ করা হয়েছে। ক্রুশবিদ্ধ হয়ে যিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাঁর জগতে পুনরুত্থানের বিষয়কে প্রতীকী- নির্দিষ্ট করা হয়েছে বাঙালির জাতীয় ত্রাণকর্তার আবির্ভাব-প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে। বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ রেখে উপন্যাসটির ভাব-ভাষা-বাক্য-শব্দব্যঞ্জনার অনুসৃত রীতিটি অনুসরণ করা হয়েছে গ্রিক ও ইংরেজি বাইবেলের বাংলা অনূদিত রূপ থেকে।
হরিপদ দত্ত
হরিপদ দত্তের জন্ম-২ জানুয়ারি ১৯৪৭, গ্রামখানেপুর, উপজেলা-পলাশ, জেলা-নরসিংদী। উল্লেখযােগ্য উপন্যাস : অজগর (দুইখণ্ড), জন্মজন্মান্তর, দ্রাবিড় গ্রাম, মােহাজের, শেকড়ছেড়া মানুষেরা, অনতিক্রম্য, দুঃসময়, অন্ধকূপে জন্মােৎসব, পিতৃহত্যার রাত ও অগ্নিবিন্দু। পুরস্কার : বাংলা একাডেমী পরিচালিত সাদত আলী আকন্দ সাহিত্য পুরস্কার ২০০১ বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (উপন্যাস) ২০০৬।