বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় শরণার্থী হয়ে বাস করেছেন বাংলাদেশের মানুষেরা। এই পটভূমিতে রচিত হয়েছে শরণার্থীর সুবর্ণরেখা উপন্যাস। এটি নিঃসন্দেহে সময়ের ছায়াশিল্প।
শরণার্থী জীবনের নানা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে শরণার্থীদের বসবাস এই সময়ের পাঠকবৃন্দ নিঃসন্দেহে স্বাধীনতার সময়কে খুঁজে পাবেন।
এই সময়কে বোঝার ভেতর আত্ম-আবিষ্কারের চিত্র পাবেন। আর নতুন প্রজন্ম, যাঁদের স্বাধীনতার পরে জন্ম হয়েছে, তাঁরা শরণার্থীদের জীবনযাপন বুঝতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের চিত্র পাবেন। শরণার্থীদের সুবর্ণরেখা শিল্পের মানসভূমি।
সেলিনা হোসেন
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, যিনি ১৪ জুন ১৯৪৭ তারিখে রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এ কে মোশাররফ হোসেন ছিলেন রেশমশিল্প কারখানার পরিচালক এবং মাতা মরিয়মন্নেসা বকুল। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়ে লেখালেখির শুরু করেন এবং তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ "উৎস" ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। সেলিনা হোসেনের লেখালেখির কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য, এবং তিনি বাংলার লোক-পুরাণের চরিত্রসমূহকে নতুনভাবে তুলে এনেছেন। তাঁর উপন্যাসে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্যে তাঁর পরিচিতি শুধু কথাসাহিত্যেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রবন্ধেও তিনি শক্তিশালী ও শাণিত গদ্য নির্মাণে দক্ষ।