সবার একটা নিজের জগত আছে। নিজের মতো করে বাঁচে মানুষ। মনের গভীর গহিনে কি কথা আছে তার তল পাওয়া যায় না। একজন মানুষ আরেকজন মানুষের খুব কাছে আসে, আসতে চায় আকুল হয়ে। আবার মনের অজান্তে একজন দূরে সরে যায় আরেকজনের। টানাপোড়েন শুরু হয় জীবনের। একই ছাদের নিচে বাস করে বছরের পর বছর দুজন কিংবা একসাথে কয়েকজন। তারা কি পরস্পর ছুঁতে পারে পরস্পরকে! তবু ভালোবেসো ভালোবাসার গল্প। মানব-মানবীর চিরন্তন সম্পর্কের বুনন। তবে সরলরৈখিক গল্প নয়। দীপু মাহমুদ তার সংবেদী মননে লিখেছেন বহুমাত্রিক ভালোবাসার গল্প।
দীপু মাহমুদ
চাকরি বলয়ে রেজা মাহমুদ আল হুদা। লেখালেখির জগতে লেখক দীপু মাহমুদ জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৫ মে। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে চুয়াডাঙ্গা জেলার হাট বােয়ালিয়া গ্রামে। বেড়ে ওঠা স্নেহময়ী, কালিশংকরপুর, কুষ্টিয়া।
পড়াশুনা করেছেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতায়। আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে ।
গবেষণামূলক রচনা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা, নাটক, শিশুসাহিত্য-সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি সক্রিয়। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে আছে গবেষণামূলক বই-মুক্তিযুদ্ধের কিশাের ইতিহাস: চুয়াডাঙ্গা। জেলা, শিক্ষা বিষয়ক বই-খেলতে খেলতে শেখা। উপন্যাস-স্বপ্নযাত্রা ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ একজন, ফেরা হয় না, ফিরে এসাে কমেলা এবং তবু ভালােবেসাে। ছােটগল্প সংকলন-মুক্তিযুদ্ধের গল্প, উত্তরপুরুষ, মেঘ জড়ানাে দিন ও তরব আলির চাদর। শিশু-কিশাের সাহিত্যনিতুর ডায়েরি ১৯৭১, বুসেফেলাস, নয় পরি, বারাে ভূত, বাঘের মন খারাপ, দুই জন্ম, মিরুর স্বপ্নখাতা, মাহিনের জুতাে জামা, অ্যাকোয়া, ডােনা, কিটি, রিকি, এলিয়েন, ঊনমানব, জুনিয়র জোনস, পুতলি ও ছেলেধরা, রায়া ও ছােটকু, পাতার নৌকা, বাড়ির সাথে আড়ি এবং আরও কিছু বই।
লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন শিশুসাহিত্যিক মােহাম্মদ নাসির আলী স্বর্ণপদক, সায়েন্স ফিকশন সাহিত্য পুরস্কার, সুনীতি অ্যাওয়ার্ড ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ সম্মাননা।
স্ত্রী রূপা, যমজ দুই পুত্রসন্তান খালিদ ও গালিব। যাদের নিয়ে দীপু মাহমুদের লেখালেখির নিজস্ব ভুবন।। বর্তমানে তিনি একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত আছেন।