সিএসপি অফিসার একে শামসুদ্দিন। সবাই তাকে চিনতাে এসডিও শামসুদ্দিন বলে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে, পাকিস্তানি আমলাগিরি ছেড়ে নেমে আসেন জনতার কাতারে। ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তানিরা তাদের নতুন পরিকল্পনা ‘অপারেশন সার্চলাইট' নিয়ে মাঠে নামে, শুরু করে ধ্বংসযজ্ঞ। শুরু হয় বাঙালিদের স্বাধীনতা যুদ্ধের নতুন পর্ব, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। এসডিও শামসুদ্দিন কাঁধে তুলে নেন রাইফেল। লাল জিপ গাড়ি নিয়ে ছুটে যান বাঘাবাড়ি, ডাববাগান, নগরবাড়িতে হানাদার বাহিনী প্রতিরােধে। অস্ত্রের সন্ধানে চলে যান ভারতে। আর এভাবেই সিএসপি অফিসার এসডিও শামসুদ্দিন হয়ে ওঠেন ‘কর্নেল শামসুদ্দিন। নিজেকে করে তােলেন মুক্তিযােদ্ধাদের ভরসাস্থল। কিন্তু সারাদেশের মতাে তার এলাকাটিও দখলে নেয় পাকিস্তানিরা। মুক্তিযােদ্ধাদের কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। খুঁজতে শুরু করেন আত্মীয়-স্বজনকে, অসুস্থ মাকে । কিন্তু পাকিস্তানিদের তাণ্ডবে কে কোথায় চলে গেছেন, কেউ জানে না। শামসুদ্দিন চলে যান ‘পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা শহরে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর কাছে। ধরা পড়েন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। আর এ ভাবেই সৃষ্টি হয় মুক্তিযুদ্ধের এক কালজয়ী উপাখ্যান- উনিশ মে।।