মানুষ সাধারণত ভালোবাসে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য, চাকরি, টাকা-পয়সা বা ক্ষমতা দেখে। কিন্তু এ সবকিছুই এক সময় কেটে যায়। আর এর সাথে ভালোবাসাটাও হারিয়ে যায়। কিন্তু নব্বই দশকের এক কিশোর তার এক কলমি বন্ধুর চিঠি পড়ে লেখার প্রেমে পড়ে যায়। কেউ কাউকে না দেখেই হয়ে যায় হৃদয়ের লেনদেন। তারা জানত না তাদের হৃদয়ের মাঝে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা নামক শব্দটি আদৌ অঙ্কুরিত হবে কিনা। কিন্তু ভালোবাসা নামক মহাশক্তি দুজনকে দিন দিন আকৃষ্ট করেই চলে। চিঠির পর চিঠি আসে যায়, মনের মাঝে নতুন স্বপ্ন বুনে দিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে দুজনের কাছে চিঠি আসা বন্ধ হয়ে যায়। প্রিয় মানুষের চিঠি না পেয়ে বাকরুদ্ধ কিশোরী হতাশ হয়ে পড়লেও তার বিশ্বাস একদিন না একদিন হলুদ খামে ভরা নতুন চিঠি আসবেই, ভালোবাসার মানুষ নীড়ে ফিরবেই। এভাবেই পাঁচ বছর কেটে যায়। দেশসেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও প্রেমিকের পাঠানো ভালোবাসার সেই চিঠি ডায়েরিবদ্ধ করে খুঁজে যায় তাকে। তার একমাত্র পুঁজি ছিল ভালোবাসা। আর সেটাকে বুকে আগলে রেখেই সে আশার বসতি গড়ে তাকিয়ে থাকে সেই পাখির আশায়। হারিয়ে যাওয়া পাখি আদৌ নীড়ে ফিরবে কী ফিরবে না জানে না সে। তাইতো আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাসের সাথে ফেলেই চলে ফোঁটা ফোঁটা লোনা জল।
রেদোয়ান মাসুদ
রেদোয়ান মাসুদ বর্তমান সময়ের উদীয়মান কবিদের মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যে তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার লেখার মধ্যে ভালােবাসা, দেশপ্রেম, শিশুতােষ, মানবপ্রেম, আবেগ, অনুভূতি ও বিরহ জড়ানাে। রেদোয়ান মাসুদ ১৯৮৮ সালের ৬ জানুয়ারি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন মােড়ল কান্দি গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মােঃ নুরউদ্দিন মােড়ল ও মাতার নাম জামিলা খাতুন। ২০০৬ সালে তার মা মারা যান। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে এম.বি.এ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার বাংলাকোষ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, হেলথ এইড হাসপাতালের পরিচালক ও জনপ্রিয় নিউজ পাের্টাল মােড়ল নিউজ-এর বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক। কবিতা চর্চার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। ২০১৪ সালে বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ের ভাষা। ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার ২য় কাব্যগ্রন্থ মনে পড়ে তােমাকে’। ২০১৭ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘অনেক কথা ছিল বলার। তার মনে পড়ে তােমাকে’ ও ‘অনেক কথা ছিল বলার’ বই ২টি কলকাতা বইমেলায়ও প্রকাশিত হয়েছে। যা পাঠকের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ২০১৮ সালের বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার ১ম উপন্যাস ‘অপেক্ষা। তার আরাে ৩ টি বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তিনি কবিতা ও উপন্যাস লেখার পাশাপাশি ইতিহাস চর্চাও করে যাচ্ছেন। ইতিহাসের উপর কয়েকটি বই প্রকাশের জন্য কাজ শুরু করেছেন। তিনি জাকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে ততােটা আগ্রহী নন। তাই আধুনিকতার এই যুগে একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।