“ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷
আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?
এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!”
– প্রস্থান, হেলাল হাফিজ (কাব্যগ্রন্থ:যে জলে আগুন জ্বলে)
“এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”
– নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়, হেলাল হাফিজ (কাব্যগ্রন্থ:যে জলে আগুন জ্বলে)
প্রেমে আর বিদ্রোহে সমান প্রাসঙ্গিক কবি হেলাল হাফিজের ইতিহাস সৃষ্টিকারী কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। ১৯৮৬ সালে প্রথম প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে তেত্রিশেরও অধিকবার। বইয়ের কবিতাগুলি প্রতিনিয়ত ধ্বনিত হয় সাজানো মঞ্চ থেকে মিছিলের অগ্রভাগে, প্রেমের ক্ষুদেবার্তা কিংবা বিরহের স্ট্যাটাস থেকে দেয়াল লিখনে।