অসংখ্য বার প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম জীবনে কোন দিন আমি বিয়ে করবো না।কিন্তু অবশেষে বাধ্য হয়ে আজকে আমাকে এই বিয়েটা করতে হল।আমি আমার জীবনের 31 টা বসন্ত একাই কাটিয়েছি।গতকাল ও আমি সিঙ্গেল ছিলাম।সিঙ্গেল লাইফটা কতই না ভালো ছিল।
আমার পরিবার আমার সাথে এমনটা করবে এটা আমি ভাবতেই পারছি না।
গতকাল রাতে মা ফোন করে বলল বাবা নাকি খুব অসুস্থ।আমাকে আজকে রাতেই বাড়িতে আসতে হবে।
আমি বাবার অসুস্থতার কথা শুনে রাতেই বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম।বাড়িতে এসে দেখি আমাদের পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে।মা বলল বাবা অসুস্থ কিন্তু বাড়ির এই অবস্থা দেখে আমি কিছুটা অবাক হলাম।
যাই হোক,,,আমি এত কিছু না ভেবে সোজা বাড়ির ভিতের চলে গেলাম।মা আমাকে দেখেই সাথে সাথে এক গ্লাস সরবত দিলো খাওয়ার জন্য।যেই আমি বাবার কথা জিগ্যেস করতে যাবো ঠিক তখনেই মা বলল অনেক দূর থেকে এসেছিস আগে সরবত টা খেয়ে নে।তারপর কথা বল।আমি সরল মনেই সরবত টা খেলাম।
আজকে আমার বাসর রাত। সবার জীবনে এই রাতটি নাকি অনেক স্বপ্নের, অনেক আশার ওসব ভাবনার নিকুচি করে ‘বাসরীয়’ বাসনা নিয়ে সাজানো বাসর ঘরে ঢুকলাম।
আহা! নতুন বউ কত না প্রশান্তি নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে।দরজা খোলাই ছিল। ভেতরে প্রবেশের পরই লাগিয়ে দিলাম।
ঘরের ভেতরে ডুকতেই মনে অন্যরকম অনুভূতি হল।ঘরটা এমন ভাবেই সাজানো হয়েছে নিজের ঘরটা নিজেই চিনতে পারছি না।যা সুন্দর করে সাজানো! ওরা পারেও বটে- গাঁদাফুল দিয়ে সাজালেও গোলাপের সংখ্যা কম নয়, রজনীগন্ধাও আছে।
তবে গোলাপের ঘ্রাণটাই প্রকট।ভ্রমর আসতে পারে বৈকি! মনে মনে হাসলাম- নিজেই তো আজকে ভ্রমর।
মন থেকে কিছুতেই এই ছটফটানি ভাবটা দূর করতে পারছি না। একবার ভাবলাম বাতিটা নিভিয়েই বিছানায় যাই,,,,পরে চিন্তা করে দেখলাম- নাহ, দরকার নেই।
মন বললো-ভদ্রতাই বংশের পরিচয়। পরিণয় বা প্রেমঘটিত বিয়ে হলে বোধকরি এতটা উত্তেজনা থাকতো না।বিছানাটার দিকে তাকিয়ে আরো বেশি অবাক হলাম।পুরোটা বিছানা ফুল দিয়ে ঢেকেছে ওরা। এমনকি বিছানায় প্রবেশের জন্যই ফুল দিয়ে আরেকটা দরজা বানিয়েছে।
ভেতরে কে আছে তা বোঝার উপায় নেই।
বিছানার পাশে গিয়ে নতুন বউকে মধুর সুরে