ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ছোটদের জন্য লেখা পাঁচটি বই নিয়ে সংকলিত হয়েছে ‘আকাশ পাখির গল্প’ । এই গ্রন্থে সংকলিত বই গুলো হলো : ‘আকাশপরী’ , ‘সোনারতরীর ছোটমণিরা’, যখন বৃষ্টি নামে’, ‘বায়ান্নো থেকে একাত্তর’ , আমার স্কুল’। ক্ষুদে পাঠকরা যেন একসঙ্গে গল্প-প্রবন্ধ পড়তে পারে সেজন্য এই আয়োজন। স্কুলের পড়ার ফাঁকে , ছুটির দিনে ছোটদের তো সময় বের করে পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বইও পড়তে হয়। বিষয়টি ছোটরা বড়দের চেয়ে বেশি বোঝে। সেজন্য আমাদের সময়ে আমাদের মতো অনেক বয়সী মানুষ পাঠ্যবইয়ের নিচে লুকিয়ে রেখে গল্পে বই পড়তো। রাজা-রাণী, রাক্ষস-খোক্কস, রাজপুত্র-রাজকন্যা,সপ্তডিঙা মধুকর, ময়ূরপঙ্ক্ষী নাও যেমন তাদের কল্পনায় থাকতো, তেমনি সিনডারেলা, এলিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড, রবিনহুড- এসবের খোঁজ পেতো ছোটরা। রহস্যের গল্প পেলে তো কথাই নাই। তাই ছোটদের জন্য বই লিখেছে সবকালের মানুষ। ক্ষুদে পাঠকরা তোমাদেরজন্য প্রকাশিত বই। তোমাদের ভালো লাগলে আমরাও খুশি হব।
সেলিনা হোসেন
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, যিনি ১৪ জুন ১৯৪৭ তারিখে রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এ কে মোশাররফ হোসেন ছিলেন রেশমশিল্প কারখানার পরিচালক এবং মাতা মরিয়মন্নেসা বকুল। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়ে লেখালেখির শুরু করেন এবং তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ "উৎস" ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। সেলিনা হোসেনের লেখালেখির কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য, এবং তিনি বাংলার লোক-পুরাণের চরিত্রসমূহকে নতুনভাবে তুলে এনেছেন। তাঁর উপন্যাসে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্যে তাঁর পরিচিতি শুধু কথাসাহিত্যেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রবন্ধেও তিনি শক্তিশালী ও শাণিত গদ্য নির্মাণে দক্ষ।