ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এক বন্ধু সঙ্গী হলো আরেক বন্ধুর। গহীন জঙ্গলে স্যুটিং-এর একটা কাজ পাওয়া গেছে। স্যুটিংয়ে নেমে তারা টের পেল অস্ত্র চোরাচালানের এক অদ্ভুত খেলায় জড়িয়ে গেছে তারা, পালানোর কোনো পথ নেই। অন্যদিকে তিনজন নারী এসেছে দেয়াং নদীর পাশ ঘেঁষা এক বাংলোয় ছুটি কাটাতে। আরেকজন মৃতপ্রায় তরুণ ভাসতে ভাসতে চললো অনিশ্চিত গন্তব্যে........ তিনটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা একটা ছোট্ট মানবিক আবেগকে ঘিরে হঠাৎ টের পেল, তারা আসলে সবাই স্বপ্নভঙ্গ মানুষ! ভূমিকা জোসক আমার প্রিয় বিষয়। যদিও জোকসকে হালকা চটুল টাইপের একটি মিনিয়েচার সাহিত্য বলা যায়। এই মিনিয়েচার সাহিত্যে মাঝে-মধ্যেই হাই ফিলসফি খুঁজে পাই। তাখন খুবই আশ্চর্য হই। এতো ছোট্ট একটা দুই-তিন লাইনের কমেডি সিচ্যুশনে এত উচ্চাঙ্গের দর্শন? এই উপন্যাসটি (!) একটি জোকো-দর্শনকে সামনে রেখে রচনা করা হয়েছে, বা কাহিনীট সাজানো হয়েছে। পাঠক ধরতে পারলে খুবই চমৎকার, না ধরতে পারলেও সমস্যা নেই। মোটামুটি একটা গল্প কিন্তু আছে, তাই বা মন্দ কি? আহসান হাবীব পল্লবী, ঢাকা।
আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)
আহসান হাবীবের জন্ম ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭, সিলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগােলে মাস্টার্স করে জীবনের প্রথম চাকরি ব্যাংকে। তারপর হঠাৎ পেশা বদল। পেশা হিসেবে বেছে নিলেন কার্টুন। দেশের একমাত্র স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক... ত্রিশ বছর ধরে। ম্যাগাজিন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে যেন তার ভালাে লাগে। অনেক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি পত্রিকা হল- কিশাের পত্রিকা ‘দুরন্ত’ ও সায়েন্স ফিকশন ম্যাগাজিন ‘ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশন। কার্টুন আঁকার পাশাপাশি জোকস তাঁর প্রিয় বিষয়। বিষয়টিকে তিনি প্রায় কুটিরশিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিখ্যাত সেই স্প্যানিস দার্শনিকের মতাে তিনিও মনে করেন যে দিনটা হাসা গেল না সেই দিনটা নিদারুণ ভাবেই ব্যর্থ!'
জোকস ছাড়া রম্য রচনায়ও তিনি পারদর্শী। এই লেখকের বর্তমান বয়স ৫৫। শিক্ষিকা স্ত্রী আফরােজা আমিন আর একমাত্র মেয়ে শবনম আহসানকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ