হঠাৎ করেই আবিষ্কৃত হয়েছে এই ডায়েরীটি। বাল্য বয়সে এই রকম বিস্তারিত একটা যে ডায়েরী লিখেছিলাম এটা একেবারে ভুলে বসেছিলাম। বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরীতে ভ্রমণের সময় ডায়েরী লিখেছিলাম তা মনে পড়ে।... ডায়েরীটি হাতে পেয়ে অবাক হলাম- এত বিস্তারিত বর্ণনা বক্তব্য অ্যাডভেঞ্চার। যতই পড়ছিলাম ততই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছিল।
পনেরো বছর বয়সী আমার সঙ্গে সত্তর বছরের আমার যেন নতুন করে পরিচয় হচ্ছিল।... এই ভ্রমণ কাহিনী পড়তে গিয়ে হোচট খেলে, কাউকে চেনা না গেলে কোন বক্তব্য পরিষ্কার নয় মনে হলে তার কারণ হিসেবে পাঠককে অনুরোধ করি স্মরণ করতে কোন পরিস্থিতিতে এই ডায়েরী লেখা হয়েছে। কখনো কলম ছিলনা, কখনো কয়েক বেলা অভুক্ত অবস্থায়, কখনো গাড়ীর হেড লাইটের আলোতে ডায়েরীটি লেখা হয়েছে।
সবকিছু মেনে নিয়ে পাঠক যদি একটি পনেরো বছরের বাঙালি বালকের দৃষ্টিতে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে মহাযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যকে একনজর দেখার সুযোগ পেতে চান তাহলে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। এর অসম্পূর্ণতার জন্য আজকের দিনের আমাকে দায়ী করবেন না।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মুহাম্মদ ইউনুসের জন্ম (১৯৪০) বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করার সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামে ১৯৭৭ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরু করেন। এখন ক্ষুদ্র ঋণের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক মডেল এবং তার উদ্ভাবক। মুহাম্মদ ইউনুস আন্তর্জাতিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। সম্ভবত বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুপরিচিত মানুষ তিনিই।
‘গ্রামীণ ব্যাংক’-এর সাফল্য তাকে বিশ্বজোড়া পরিচিতি এনে দিয়েছে। এ পর্যন্ত পনেরােটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তেরােটি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিও তিনি পেয়েছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
ড. ইউনুস ইউ এন ফাউন্ডেশন' সহ অন্তত দশটি আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য বা উপদেষ্টা । সম্প্রতি তিনি জাতিসংঘের 'UNAIDS-এর ‘ইন্টারন্যাশনাল গুডউইল অ্যাম্বাসাডর’-এর সম্মান লাভ করেন। ‘গ্রামীণ ব্যাংক' ছাড়াও বাংলাদেশে গরিবদের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। '২০০৬-এ গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে নােবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত।