

বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি এবং রিসালায়ে নুর (হার্ডকভার)
বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি এবং রিসালায়ে নুর ।।।।।।।। লেখক ও চিন্তক মোহাম্মদ ইরফান হাওলাদারের লেখা ‘বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি এবং রিসালায়ে নুর’ গ্রন্থের একেবারে সর্বশেষ লাইন। লেখক তার বইটিতে গতানুগতিক জীবনী লেখার চিরাচরিত নিয়ম থেকে বের হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে গত শতাব্দীর শ্রেষ্ট আলেমে দ্বীনও মুজাহিদ সাঈদ নুরসীর জীবনকে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন এ বইয়ে। বইয়ের পাঠ পরবর্তী অনুভূতি হলো, কোরআন, খিলাফত ও শরীয়াহর প্রতি ভালোবাসা বেড়ে গেলো অনেকগুণে। আমার মনে হলো এরকম বই আরও আগে আমদের কাছে থাকা দরকার ছিল । আলহামদুলিল্লাহ এরকম একটি বই আমরা অনেক পরে হলেও হাতে পেয়েছি। একজন আলেম যিনি সারাজীবন কোন ধরনের হাদিয়া গ্রহন না করে সারাজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন দ্বীনের খেদমতে। জীবনের অধিকাংশ সময় জুড়েই ছিলেন কারাবন্দি। এমনকি, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অনেক পুলিশের বেষ্টনীতে একটা হোটেল রুমে। উসমানী খিলাফতের পতন আর কামাল আতাতুর্কের উত্থানসহ বিশ্বযুদ্ধে মুসলমানদের অবস্থান সব উঠে এসেছে মাঝারি সাইজের এ বইটিতে। তাই বইটি সতিই ভালো মানের একটি বই লিখেছেন লেখক। আজকেই বইটি অর্ডার করুন।।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর কথা। দিকে দিকে কামালবাদের জয়ধ্বনি। সব আশা শেষ! বিশ্বাসীরা হাল ছেড়ে দিলো, পরাজয় মেনে নিলো বুঝি। লাঞ্চনা, অপমান, অপদস্তের এক জীবন তাদের। ধীরে ধীরে ইসলামকে জীবন থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে। মুসলমানিত্ব মানেই যেন পরীক্ষা। ঘুমিয়ে যাচ্ছে উম্মাহ। হাল ছেড়ে দিচ্ছে সবাই। কিন্তু নাহ! তিনি জেগে উঠলেন, দায়িত্ব নিলেন সবাইকে জাগানোর। শেষ থেকেই যেন শুরু। ধ্বংসস্তূপ থেকেই ফিনিক্স পাখির ঠোঁট বের হলো। আমরা বলছি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কারক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির কথা। জাহেলিয়াতের ভরা যৌবনেও যিনি সত্যের মশাল বইয়ে নিয়েছেন বিচক্ষণতার সাথে। জোয়ার দেখেও যিনি এতটুকু হীনমন্যতায় ভোগেননি; ভবিষ্যত প্রজন্মের মুক্তির রাজপথ নির্মাণ করেছেন দক্ষ শ্রমিক হয়ে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিপাহসালার, যুগ সংস্কারক, বিখ্যাত রিসালায়ে নুর-এর লেখক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির সংগ্রামী জীবনী পড়তে আপনাকে স্বাগতম।
বইটির সর্বশেষ লাইনগুলো হলো “কামাল পাশার ছিলো বিরাট সৈন্যবাহিনী, অস্ত্রসস্ত্র ও ট্যাংক। আর নুরসির ছিল ভাঙা কলম। কিন্তু সময় আজ প্রমাণ করেছে, কামাল হেরে গিয়েছে, নুরসি বি বন্দিজীবনের সূচনা এ অংশগুলো রয়েছে। একজন আলেম যিনি সারাজীবন কোন ধরনের হাদিয়া গ্রহন না করে সারাজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন দ্বীনের খেদমতে। জীবনের অধিকাংশ সময় জুড়েই ছিলেন কারাবন্দি। এমনকি, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অনেক পুলিশের বেষ্টনীতে একটা হোটেল রুমে। উসমানী খিলাফতের পতন আর কামাল আতাতুর্কের উত্থানসহ বিশ্বযুদ্ধে মুসলমানদের অবস্থান সব উঠে এসেছে মাঝারি সাইজের এ বইটিতে। নুরসি বলছিলেন, তার মৃত্যুর পর যেন কবরটা হয় অজ্ঞাত স্থানে। আর কেউ যদি তার কবর যিয়ারতের নিয়ত করে তবে যেন তার জন্য ফাতিহা তিলাওয়াত করেন।
বই - বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি ও রিসালায়ে নুর’। সব আশা শেষ! বিশ্বাসীরা হাল ছেড়ে দিলো, পরাজয় মেনে নিলো বুঝি। কিন্তু তিনি জেগে উঠলেন, দায়িত্ব নিলেন সবাইকে জাগানোর। শেষ থেকেই যেন শুরু। ধ্বংসস্তূপ থেকেই ফিনিক্স পাখি ঠোঁট বের হলো। অনেকেই বললেন—‘আপনি মদিনায় হিজরত করুন বদিউজ্জামান; সময়টা আপনার নয়। ওরা আপনাকে বিনাশ করবে।’ তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন—‘কী বলছেন আপনারা? সময় এখন তুরস্কে হিজরত করার। আমি যদি মদিনার অধিবাসী হতাম, তাহলে অবশ্যই আমি আতাতুর্কের এই তুরস্কে হিজরত করতাম।’ জি, আমরা বলছি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কারক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির কথা। জাহেলিয়াতের ভরা যৌবনেও যিনি সত্যের মশাল বইয়ে নিয়েছেন বিচক্ষণতার সাথে। জোয়ার দেখেও যিনি এতটুকু হীনমন্যতায় ভোগেননি; ভবিষ্যত মুক্তির রাজপথ নির্মাণ করেছেন দক্ষ শ্রমিক হয়ে। কামালবাদের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ভবিষ্যৎ বিজয়ের। তিনি খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে বলছেন—‘আমার তাড়া ছিল, তাই এসেছিলাম শীতকালে। আর তোমরা আসবে বেহেশতের মতো বসন্তে। যে আলোর বীজ আজ বোপন করা হলো, তা ফুল হয়ে ফুটবে তোমাদের বাগানে।’ এই মহান বিপ্লবী নুরসিকে একবার এই প্রশ্ন করা হয়েছিল—‘কেন আপনি আপনার ওপর জুলুম নির্যাতনকারীদের কিছুই বলছেন না? তাদের প্রতি আপনার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কেন?’ উত্তরে সাঈদ নুরসি বলেছিলেন—‘আমার দেশের সন্তানেরা জাহান্নামের আগুনের দিকে যাচ্ছে। আমি বাবা হিসেবে নিজের সন্তানদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে কে আমার পায়ে ল্যাঙ দিলো, তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়; বরং বাবা হিসেবে সন্তানকে আগুন থেকে বাঁচানোই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিপাহসালার তুরস্কের নুরসি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা, যুগ সংস্কারক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির জীবনী গ্রন্থ। নুরসিকে বুঝতে হলে বুঝতে হবে রিসালায়ে নুর। তাই আমাদের এই গ্রন্থের নাম ‘বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি ও রিসালায়ে নুর’। ।
SIMILAR BOOKS
