বরফ গলা নদী - জহির রায়হান | বইবাজার.কম

বরফ গলা নদী

    5 Ratings     4 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ২০০ (২০% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২৫০





WISHLIST


Overall Ratings (3)

Al amin
11/04/2020

আমার কাছে মনে হয়েছে এটি একটি সামাজিক উপন্যাস । হুমায়ুন আহমেদ এর “শঙ্খনীল কারাগার” এবং “নন্দিত নরকে” এর পর আমার ভালো লাগা আরেকটি উপন্যাস “বরফ গলা নদী” । একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কোনরকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার চরম বাস্তবতা আছে এতে । বাবার বেতনের টাকায় চলে না এতগুলো মানুষের খাওয়া , পড়াশোনা , বাড়ী ভাড়া। নড়বড়ে ঘর , মায়ের তালি দেয়া শতছিন্ন ছেড়া শাড়ী , ছোট ভাই-বোনের ছোটখাটো আবদার পুরণ করতে না পারা এক সংগ্রামী জীবন মাহমুদের । বি.এ.পাশ করে একটা পত্রিকায় সাব এডিটর এর চাকরি করে মাহমুদ ৫০ টাকা মাইনে পায় , এতে নিজের খরচ রেখে পরিবারে একটু সাহায্য করে । চাকরি টা অনেক আশা করে নিয়েছিল কিন্তু সেই আশা সম্পাদকের নিয়মনীতির গণ্ডিতে বাঁধা পরে গেছে । বাড়ীর বড় মেয়ে মরিয়ম , অল্প বয়সে একটা ভুল করে ফেলে । যা তাকে পরবর্তী জীবনে সুখ থেকে বঞ্চিত করে রাখে । সেও নিজের পড়াশোনার খরচ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী পড়িয়ে জোগাড় করে নেয় । ছাত্রী পড়ানোর সুবাদে একজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে । পারিবারিক আয়োজনেই বিয়ে হয়ে যায় বড়লোক ছেলে মনসুরের সাথে । যদিও এই বিয়েতে মরিয়মের বড় ভাই মাহমুদের মত ছিল না । মাহমুদ বড়লোকদের দুচোখে দেখতে পারে না । সে শুধু সমাজের দুটি সম্পর্ককে জানে , ধনী আর গরিব । তার কাছে নাকি বাবা মা ভাই বোন নিয়ে আলাদা কোন অনুভূতি কাজ করেনা সেটা সে বলে বেড়ায় কিন্তু পরিবারের মারাত্মক বিপর্যয়ে দেখা যায় সেই প্রথমে ভেঙ্গে পড়ে। এই গুলো ছিল তার রাগের কথা মনের কথা নয় । মরিয়মের বিয়ের প্রায় ৬ মাস পড়ে একদিন হটাৎ কাপড়চোপড় নিয়ে হাজির হয় মরিয়ম । মনসুরের সাথে হওয়া মনমালিণ্য নিয়ে বাসার কাউকে কিছু জানায়নি সে । সেই রাতেই চরম বিপর্যয় ঘটল সেই বাসায় । কি হয়েছিল সেটা না হয় পড়েই জানতে পারবেন । আরও অনেকগুলো চরিত্রের ছোটখাটো ঘটনা সন্নিবেশিত আছে এতে । পড়তে বসলে বোরিং লাগবে না । আমি শুধু এখানে কাহিনী সংক্ষেপ আকারে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি । আশা করি এইটুকু পড়লে আপনাদের বই পড়ার মজা নষ্ট হবে না ।


Muhammad Mosharrof Hussain
09/04/2020

বইঃবরফ গলা নদী লেখকঃজহির রায়হান প্রকাশনীঃঅনুপম পৃষ্ঠাঃ৯৬ ব্যক্তিগতভাবে জহির রায়হানের লেখা বইগুলো আমার খুবই প্রিয়। ওনার লেখা পড়ার সময় কখনো অনুভব করিনা কোনো একটা বই এ আটকে আছি। মনে হয় খুব কাছে থেকে কারো বাস্তব জীবনকে দেখছি আমি। জহির রায়হানের তেমনি এক অসাধারণ বাস্তবধর্মী উপন্যাস "বরফ গলা নদী"। কাহিনী সংক্ষেপঃ চোখজোড়া বন্ধ করে ঘুমোতে চেষ্টা করলো মাহমুদ। ঘুম এলো না। বারবার সেই ভয়াবহ ছবিটা ভেসে ওঠতে লাগলো ওর স্মৃতির পর্দায়। যেন সব দেখতে পাচ্ছে সে, পরিবারের সবার গলার স্বর শুনতে পাচ্ছে। ভয়ে ভয়ে চোখ খোলে মাহমুদ যদি মাকে দেখা যায়, কিন্তু নাহ! তার নজরে এলো একটা আরশোলা, বইয়ের আলমারিটার উপর নিশ্চিন্তে হেঁটে বেড়াচ্ছে সেটা। কিছুক্ষণ পর পাকঘর থেকে এলো লিলি। ওকে দেখতে পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত হলো মাহমুদ। একটু কাল নিরব থেকে বললো,আমি মরলাম না কেন লিলি?? শহরের এক সরু গলিতে আবর্জনার স্তুপের পাশেই একতলার এক জীর্ণশীর্ণ দালানে বাস করে মাহমুদ ও তার পরিবার। বাবা মা ও বোনদের নিয়ে দারিদ্রতার মাঝেই মোটামুটি চলে যাচ্ছিলো দিনগুলো। হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় বদলে যায় পরিবারের চিত্র। কি হয়েছিলো মাহমুদের পরিবারের?? আর কেনই বা বেঁচে থেকে ও মৃত্যু কামনা করে মাহমুদ??? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ উপন্যাসটা পড়ার পর মনের মধ্যে খুব সূক্ষ একটা কষ্ট জায়গা করে নিয়েছিল। বারবার মনে হচ্ছিলো এমনটা না হলে-ও পারতো। পরিশেষে উপন্যাসটা এটাই শেখায় পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন জীবন থেমে যায়না,জীবন তার নিজ নিয়মেই চলতে থাকে।।


YEASIR ARAFAT PEAM
18/03/2019

এই বইটিতে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কোনরকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার চরম বাস্তবতা আছে। বাবার বেতনের টাকায় চলে না এতগুলো মানুষের খাওয়া , পড়াশোনা , বাড়ী ভাড়া। নড়বড়ে ঘর, মায়ের তালি দেয়া শতছিন্ন ছেড়া শাড়ী, ছোট ভাই-বোনের ছোটখাটো আবদার পুরণ করতে না পারা এক সংগ্রামী জীবন মাহমুদের। বি.এ.পাশ করে একটা পত্রিকায় সাব এডিটর এর চাকরি করে মাহমুদ ৫০ টাকা মাইনে পায়, এতে নিজেরখরচ রেখে পরিবারে একটু সাহায্য করে । চাকরি টা অনেক আশা করে নিয়েছিল কিন্তু সেই আশা সম্পাদকের নিয়মনীতির গণ্ডিতে বাঁধা পরে গেছে। বাড়ীর বর মেয়ে মরিয়ম, অল্প বয়সে একটা ভুল করে ফেলে। যা তাকে পরবর্তী জীবনে সুখ থেকে বঞ্চিত করে রাখে। সেও নিজের পড়াশোনার খরচ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী পড়িয়ে জোগাড় করে নেয়। ছাত্রী পড়ানোর সুবাদে একজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। পারিবারিক আয়োজনেই বিয়ে হয়ে যায় বড়লোক ছেলে মনসুরের সাথে। যদিও এই বিয়েতে মরিয়মের বড় ভাই মাহমুদের মত ছিল না। মাহমুদ বড়লোকদের দুচোখে দেখতে পারে না। সে শুধু সমাজের দুটি সম্পর্ককে জানে , ধনী আর গরিব। তার কাছে নাকি বাবা মা ভাই বোন নিয়ে আলাদা কোন অনুভূতি কাজ করেনা সেটা সে বলে বেড়ায় কিন্তু পরিবারের মারাত্মক বিপর্যয়ে দেখা যায় সেই প্রথমে ভেঙ্গে পড়ে। এই গুলো ছিল তার রাগের কথা মনের কথা নয়।মরিয়মের বিয়ের প্রায় ৬ মাস পড়ে একদিন হটাৎ কাপড়চোপড় নিয়ে হাজির হয় মরিয়ম । মনসুরের সাথে হওয়া মনমালিণ্য নিয়ে বাসার কাউকে কিছু জানায়নি সে। সেই রাতেই চরম বিপর্যয় ঘটল সেই বাসায়। আরও অনেকগুলো চরিত্রের ছোটখাটো ঘটনা সন্নিবেশিত আছে এতে । আশা করি সবার বইটি খুব ভালো লাগবে #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2024 BoiBazar.com