'বৃত্তের বাইরে' কিছু কথাঃ বৃত্তবন্দি মানুষের জীবন। চাইলেও সেই বৃত্তের বাইরে সে যেতে পারে না। সমাজ নামক এক শৃঙ্খল তাকে বন্দি করে রাখে। অনেক বাধা-বিপত্তি পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকে। সেই বাধার দেয়াল ডিঙিয়ে সামনে এগিয়ে চলাটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে কখনও কখনও। নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর দ্বন্দ্বমুখর সময়কে মোকাবিলা করে বেঁচে থাকতে হয় তাকে। জীবন তবু থেমে থাকে না। এগিয়ে চলে আপন গন্তব্যে। নিয়মের শৃঙ্খল ভাঙার মিছিলে কেউ কেউ সামনে এসে দাঁড়ায়। শুরু হয় দ্বন্দ্ব, নতুন কোনো কাহিনি। যুগে যুগে পুরনো ধ্যান-ধারণার কবর রচিত হয় এভাবেই একদিন। হারাবতীতে একটি শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়া যায়। এই সমাজ তাকে স্বীকৃতি দেয় না। এক সহৃদয় ব্যক্তি সেই শিশুকে লালন-পালন করে বড় করেন। সময়ের পালাবদলে সেই শিশু একদিন ফিরে আসে তার আত্মপরিচয়ের সন্ধানে। সে কি স্বীকৃতি পাবে এই সমাজের কাছে? নাকি অচ্ছুৎই থেকে যাবে চিরকাল? থেকে যাবে বৃত্তের বাইরে? 'বৃত্তের বাইরে' উপন্যাসে সামাজিক ন্যায়-অন্যায়ের পাশাপাশি চেষ্টা করেছি নারী-পুরুষের চিরন্তন সম্পর্ককে আঁকতে। কতটা পেরেছি সেই ভার সুপ্রিয় পাঠকের উপরেই রইল।