সূচীপত্র * ক্রোধ ও হিংসা * ক্রোধের অপকারিতা * ক্রোধের হাকীকত * প্রথমত : স্বল্পতার স্তর * দ্বিতীয়ত : বাহুল্যের স্তর * তৃতীয়ত : মধ্যবর্তী স্তর * সাধনা দ্বারা ক্রোধ দূর হওয়া সম্ভব কি-না * প্রথমত : এমন বস্তু যাহা সকলের জন্য আবশ্যক * দ্বিতীয়ত : এমন বস্তু যাহা কাহারো জন্যই একান্ত আবশ্যক নহে * পার্থিব আসক্তি হ্রাসের স্তর * মানবীয় অন্তরে ক্রোধের স্বাভাবিক বিকাশ * ক্রোধের কারণ এবং তাহা দূর করার উপায় * উত্তেজনার সময় ক্রোধের প্রতিকার * ক্রোধ হজম করার ফজিলত * সহনশীলতার ফজিলত * প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য সেই পরিমাণ কথা বলা জায়েয * বিদ্বেষের সংজ্ঞা, উহার পরিণতি এবং নম্রতার ফজিলত * এহসান ও ক্ষমার ফজিলত * নম্রতার ফজিলত * হিংসার নিন্দা * হিংসার হাকীকত, উহার ধরন ও বিধান * ইর্ষার পরিচয় * হিংসার কারণসমূহ * মোটামুটিভাবে হিংসার সাতটি কারণ * স্বজনদের সঙ্গে অধিক হিংসা হওয়ার কারণ * হিংসার প্রতিকার * আমল দ্বারা হিংসার প্রতিকার
মোহাম্মদ খালেদ
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী (রহ.)
আবু হামিদ মোহাম্মদ ইবনে মোহাম্মদ আল-গাজ্জালি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) হিসেবে বেশি পরিচিত, মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শিক্ষাবিদ ইমাম আল-গাজ্জালির ১০৫৮ সালে ইরানের খোরাসানের তুশ নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নামটিও ছিল তাঁর নামের অনুরূপ, মুহাম্মদ। মুহাম্মদের পিতা অর্থাৎ ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)-এর দাদার নাম ছিল আহমদ। তাঁর পিতা মুহাম্মদ তখনকার সময়ে একজন স্বনামধন্য সূতা ব্যাবসায়ী ছিলেন। গাজল অর্থ সূতা, নামকরনের এই সামঞ্জস্যতা তাই তাঁর বংশকে গাজ্জালী নামে পরিচিত করেছে। আবার কারো মতে তিনি হরিণের চক্ষু বিশিষ্ট অপরূপ সুদর্শন ছিলেন, আর গাজাল অর্থ হরিণ, তাই পিতা মাতা তাঁকে শৈশবে আদর করে গাজ্জালী বলে ডাকতেন। উভয় বর্ণনানুসারে তাঁকে গাজ্জালী বা গাজালীও বলা হয়। তিনি সে সময়ে ইরানের শিক্ষা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেন। জ্ঞান অন্বেষণের জন্য তিনি দেশভ্রমণেও বেরিয়েছিলেন। ১১১১ সালে তিনি মারা যান।