ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কোথাও বেশি। কোথাও কিছুটা কম। কিন্তু কোনও স্কুলেই দুরন্ত ছেলে মেয়ের অভাব নেই। আর স্কুল জীবনইতো দুরন্তপনার আসল সময়। দুরন্তপনাই যে কৈশোররের আসল সৌন্দর্য্য। স্কুল জীবনের দুরন্তপনার গল্পই উঠে এসেছে দুই দল দুরন্ত বইয়ে। গল্পগুলো তোমাদের মতো বয়েসী একদল দুরন্ত ছেলে-মেয়ের দুন্তন্তপনার গল্প। তাদের ভুবন ও ভাবনার গল্প। কখনো কখনো গল্পগুলো একটি স্কুলের গল্প। কখনো কখনো একটি নির্দিষ্ট সময় ও সমাজের গল্প। কখনো মনে হতে পারে গল্পগুলো আসলে আমাদের সবার গল্প। তবে সবকিছুর পরে গল্পগুলো নেহায়েত একদল কিশোর গল্প। কিশোরদের জন্য লেখা গল্প।
সূচীপত্র * দি নিউ স্কুলভ্যান * গুপ্তবাবুর গুপ্তধন * চলতি পথে অ্যাডভেঞ্চার * জাদুঘরের ভূত * তানির অ্যাকুরিয়াম * দুই দল দুরন্ত * বগা বকুল * ভূতটা কোথায় যাবে
পলাশ মাহবুব
পলাশ মাহবুব লেখালেখি করছেন প্রায় দুই দশক ধরে। শুরুতে ছড়া লিখেছেন দাপটের সঙ্গে। এরপর গল্প; ছোট-বড় সবার জন্য। উপন্যাস লেখার শুরু তার কিছু পর থেকে। ‘টো টো কোম্পানি’ তার জনপ্রিয় কিশোর অ্যাডভেঞ্চার সিরিজ। ইতিমধ্যে এই সিরিজের সাতটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে শুরু করেছেন আরেকটি কিশোর সিরিজ ‘লজিক লাবু’। সেটিও কিশোর পাঠকদের আগ্রহে চলে এসেছে। টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখছেন বেশ অনেক বছর ধরে। বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় নাট্যকারদের মধ্যে তিনি একজন। রম্য লেখায় পলাশ মাহবুবের আছে নিজস্ব কথন ভঙ্গি। সাবলিল ভাষা আর বক্তব্যের তীব্রতা তার লেখার সৌন্দর্য। অনুষ্ঠান নির্মাতা হিসেবেও পলাশ মাহবুব একটি অগ্রগণ্য নাম। টেলিভিশনের জন্য ইতিমধ্যে দুই হাজারেরও বেশি অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন সম্মানজনক অগ্রণী ব্যাংক-বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গের অন্নদাশঙ্কর রায় সাহিত্য পুরস্কার, ইউনিসেফ মীনা অ্যাওয়ার্ড, এসিআই-আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ আরও কিছু পুরস্কার। নির্মাতা হিসেবে পেয়েছেন নাট্যসভা পদক। পলাশ মাহবুব পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। সাংবাদিকতা আর অনুষ্ঠান নির্মাণের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষন নিয়েছেন দেশ ও দেশের বাইরে। ফলে পেশা হিসেবে ঘুরে ফিরে ওই সাংবাদিকতা আর টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বিভাগে কাজ করেছেন এবং করছেন। পলাশ মাহবুব বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা ডটনেট ও দৈনিক সারাবাংলা’র উপ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনিিএকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।