ফেলুদা সমগ্র-১ (হার্ডকভার)
ফেলুদা পড়ে হতাশ হয়েছে এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। যারা মাথা খাটাতে পছন্দ করো তাদেরকে উপহার হিসেবে ফেলুদার বই দেয়া যেতেই পারে! কারণ ফেলুদা শুধু পড়ে সময় কাটানোর জন্য নয়, ফেলুদা পড়ে নিজের মাথাটিও খুব ভালোভাবেই ব্যবহার করা যায়। কখনো কখনো তো নিজেকেই ফেলুদা ভেবে ভুল করতে পারো! 'ফেলুদা সমগ্র ১' বইটিতে পাবে রহস্য ও উত্তেজনায় ভরপুর ১৬টি গল্প। যার প্রতিটিতেই পাবে একটু হাসি, একটু রোমাঞ্চ আর অনেকখানি রহস্য! ফেলুদার গল্পগুলো পড়লে শিখতে পারবে কিভাবে কোন মানুষকে একনজর দেখেই তাঁর সম্পর্কে কতো কিছু বলে দেয়া যায়! সত্যজিৎ রায় এখানে নিজেকে তপেশ নামে জাহির করেছেন। 'থ্রি মাস্কেটিয়ার্স' এর আরেকজন সদস্য জটায়ু, যদিও ইনি পরে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন! যাইহোক, এই তিনজনের একজনকে ছাড়া ফেলুদা যেন লবণ ছাড়া তরকারি। প্রধান মাথা খাটানোর কাজ ফেলুদাই করেন, বাকি দুজন স্যাটেলাইট হিসেবে কাজ করেন! 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' দিয়ে প্রদোষ চন্দ্র মিত্রের শখের ডিটেকটিভ হওয়ার যাত্রা শুরু হয়। এই রে! নিশ্চয়ই ভাবছো ইনি আবার কে! আসলে এটিই ফেলুদার পূর্ণ নাম। বই কিনে যেমন কেউ দেউলিয়া হয়না, ঠিক তেমনি ফেলুদা পড়েও আশাহত হবে না এতোটুকু নিশ্চিতভাবেই বলে দেয়া যায়। তো চলো ঘুরে আসা যাক বাংলার শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দাকাহিনীর দুনিয়ায়! #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯