হাদীসের নামে জালিয়াতি : প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা
হাদীসের নামে জালিয়াতি বইটি না পড়লে কখনো জানতেই পারতাম না আমরা কতো ভুল এবং মিথ্যা হাদীস শুনে শুনে বড় হয়েছি। আশে পাশের মানুষের থেকে শুনে শুনে অনেক বিকৃত হাদীস আমরা এতো দিন বিশ্বাস করে এসেছি। বইটির লেখক ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরকে নিয়ে মুগ্ধতা আরও বেড়ে গিয়েছে এই বইটি পড়ার পর। তিনি জাল হাদীস চিহ্নিত করার পাশাপাশি সহীহ হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা প্রতিটি ঈমানদার মুসলমানের জানা উচিত। এক কথায় অসাধারণ একটি বই।
হাদীসের নামে জালিয়াতি এবং মিথ্যা হাদিস নিয়ে অনেক সুন্দর এবং গবেষণাধর্মী একটি বই হচ্ছে" হাদিসের নামে জালিয়াতি"। প্রত্যেক মুসলিমের এই বইটি পড়া উচিত।
"কুরআন কারীমের পরে রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীস ইসলামী জ্ঞানের দ্বিতীয় উৎস ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার দ্বিতীয় ভিত্তি। মুমিনের জীবন আবর্তিত হয় রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীসকে কেন্দ্র করে। হাদীস ছাড়া কুরাআন বুঝা ও বাস্তাবায়ন করাও সম্ভব নয়। হাদীসের প্রতি এই স্বভাবজাত ভালবাসা ও নির্ভরতার সুযোগে অনেক জালিয়াত বিভিন প্রকারের বানোয়াট কথা ‘হাদীস’ নামে সমাজে প্রচার করেছে। সকল যুগে আলিমগণ এসকল জাল ও বানোয়াট কথা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করে মুসলমানদেরকে সচেতন করেছেন। আমাদের দেশে একটা লম্বা সময় ধরে হাদীস পঠন ও চর্চা থাকলেও সহীহ-যইফ-মাওযূ হাদীস বাছাইয়ের প্রতি অনীহা ছিল। এখনও বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল-গুলোতে বানোয়াট, ভিত্তিহীন কাহিনীর চর্চা চলমান। হাদীসের নামে এগুলো প্রচারিত হচ্ছে। এভাবে আমরা নিপতিত হচ্ছি নবীজি ﷺ-এর নামে মিথ্যা বলার কঠিন পাপে। . ক্ষতিটা মোটের ওপর দুইভাবে হচ্ছে। ** প্রথমত, এ সকল বানোয়াট কথা আমাদেরকে বিশুদ্ধ হাদীস শিক্ষা, চর্চা ও আমল থেকে বিরত রাখছে। **দ্বিতীয়, এগুলোর ওপর আমল করে আমরা সাওয়াবের বদলে পাপের ভাগীদার হচ্ছি। বানোয়াট হাদীসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় সাধারণ মানুষদের মাঝে। যারা বিজ্ঞ আলিমের সাহচর্য পায় না, বইপত্রও পড়ছে না। সেই সাথে আমাদের মা-বোনেরাও আক্রান্ত হচ্ছে এসবে। এ জন্য নানান কুসংস্কার, মিথ্যা কাহিনী, বিশ্বাস তাদের মাঝে পাওয়া যায়, যা সমাজের জন্য ভাল ফল নিয়ে আসতে পারে না,,,,,,