আলহামদুলিল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বল আলামীনের জন্য। যিনি দয়াবান, পরম দয়ালু। যিনি আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। অসংখ্য দরূদ ও সালাম সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, যিনি মানব জাতির জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন এবং যিনি মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। হাজারাে সালাম নবীজীর পরিবার-পরিজন, সাহাবায়ে কেরাম এবং সেসব বীর মুজাহিদদের প্রতি যারা যুগে যুগে আল্লাহ তাআলার যমিনে আল্লাহ তাআলার দ্বীনকে বিজয়ী করতে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।
আমাদের জীবন সীমিত সময়ের জন্য, কিন্তু আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা অসীম। এই ক্ষণস্থায়ী জগতে মানুষ যা কিছুই কামনা করে, তার সবগুলাে পাওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমরা শিক্ষা লাভ করি না। তবে এমন একটা জগত আছে, যেখানে মানুষ যাবতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা চাওয়া মাত্রই পূর্ণ হবে। আল্লাহ তাআলা রাসূল (সা.)-এর মাধ্যমে সংবাদ দিয়েছেন। এর নাম হলাে জান্নাত। সেখানে জীবনকাল অনন্ত, সেখানে মৃত্যু নেই। সেখানে আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ, অভাব নেই, চিন্তা নেই, দুঃখ-কষ্ট নেই, বার্ধক্য নেই, অসুস্থতা নেই। চিরকাল মানুষ সেখানে যুবক-যুবতী থাকবে, চিরকাল সুস্থ থাকবে। সেখানকার জীবনে শুধু আনন্দই আনন্দ। সীমাহীন বিশাল রাজ্য। উত্থাত্ 'আছে, পতন নেই, তুলনাহীন সৌন্দর্য। সেখানকার ঘরগুলাে স্বর্ণ-রৌপ্যের, ঘরগুলাে মনােমুগ্ধকর বাগবাগিচা পরিবেষ্টিত। প্রবাহিত ঝর্ণা, বিস্তৃত ছায়া, ঝুঁকে থাকা ফলের থােকা পরিপক্ব ফলফলাদি এবং অনুপম সৌন্দর্যের অধিকারিণী হুরগণ সে ঘর শােভিত করবে। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য এবং এই জান্নাতে সহজে যাবার জন্য বইখানি লেখা হয়েছে। কুরআন এবং হাদীসের আলােকে বিভিন্ন বুজুর্গানে দ্বীনের লিখিত বই থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বইখানা আমলের নিয়তে পড়বেন। কোনাে আমল করার আগে ৩-৪-৫ বা আরাে বেশি দরূদ শরীফ পড়বেন এবং আমলের শেষেও ঐ রূপ দরূদ শরীফ পড়বেন। এতে অনেক ফায়দা পাবেন। বইখানি কেউ পড়ে কমপক্ষে কিছু আমল করলে বইখানি লেখা সার্থক হবে। আসুন আমরা বইখানি নিজে পড়ি এবং অন্যকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করি।
মহান আল্লাহ তাআলা এ গ্রন্থের পাঠক, লেখক, প্রকাশক, সহযােগিতাকারী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামতের জীবন দান করুন। আমীন।