ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ‘পরম্পরা’ বাংলা কবিতার আদি উপাদনের ব্যবহার চর্যাপদ থেকেই আমরা লক্ষ্য করছি। পরম্পরা একুশ শত কেন্দ্র বাংলা কবিতার প্রধান শ্বাস-প্রশ্বাস হিসেবেই বিবেচিত কারণ, ওই পরম্পরা বা ঐতিহ্য মানবযাত্রার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। প্রাকৃতিক জীবন সংগ্রাম হতে মানুষকে সাংস্কৃতিক পরিবেশে নিয়ে এসেছে। মানুষের সজনশীল বোধ-বীক্ষা। প্রাণী পরিচয়কে ঢেকে দিয়ে ‘মানুষ’ ও মানবীয় গুণকেই তুলে ধরেছে সংস্কৃতি। হাজার হাজার বছরের মানবযাত্রার সৃষ্টিই যে ‘পরম্পরা’ হিসেবে আমারেদ পরিচালিত করছে, সেই ধারাপাত কবিতায় কতটা, কতভাবে পড়েছে তারই একটি সমীক্ষা ‘কবিতায় পরম্পরা’ । নামহীন গোত্র-পরিচয়হীন কবিদের হাতে সৃষ্ট সব মিথ, কিংবদন্তি লোককথা, রূপকথা, উপকথা, প্রবাদ-প্রবচর, বারোমাসি এবং লোক কারিগরির সকল বস্তুগত উপকরণ মানসিক উপাদান-আামদের যাপিত জীবনের পরম্পরা হিসিবে আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান স্রোত হিসেবে বহমান।