শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার শ্রীকান্ত উপন্যাসের শুরুতেই লিখেছিলেন- আমার দুচোখে যা দেখি মানে আকাশকে আকাশ , প্রকৃতিকে প্রকৃতি তাই-ই আমি লিখি। এ কথাটিও উপন্যাসিক শায়লা শহীদের বেলায়ও প্রযোজ্য ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনতন্ত্র থেকে আরেক উপনিবেশ পাকিস্থানের কবলে পড়া বাংলার স্বাধীনতার সমসাময়িক এই উপন্যাসের ঘটনাকেই কেন্দ্র করে লিখা। প্রথা বিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ বলেছেন ‘নারীর কথা নারীর মুখ থেকেই শোনা উচিত’ তাহলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে। যে সত্য আমারা জানতে পারি না। সেই সত্যই শায়লা শহীদ –এর নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের উপন্যাসের বিষয়টি উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। মোটকথা নারী পুরুষের জৈবিক চাহিদার যে একটা নৈতিক দিক আছে, তাকে থোরাই কেয়ার করে পুরুষ। নারিকে যে ভোগের সামগ্রী হিসেবেই এ-সমাজ দেখে, লম্পট পুরুষের ভন্ডামিও তার মুখোশ উন্মোচিত করেছে। এ সমাজ ব্যবস্থা থেকে উত্তরনের আভাসও আছে প্রগতিবাদি প্রতিবাদি শায়লা শহীদের লেখা ‘নারী এক আহলাদী বিড়াল’ উপন্যাসটিতে।