আলী ইমাম। জন্ম : ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। পিতা : মরহুম আলী আকবর, মাতা : শাহজাদী বেগম। শিশু সংগঠক, সুবক্তা এবং ৬০০টির অধিক শিশুসাহিত্যবিষয়ক গ্রন্থের রচয়িতা। সাহিত্যের সবকটি শাখা, ছড়া-কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, জীবনী, ভ্রমণকাহিনি, অনুবাদ, বিজ্ঞান কল্পকাহিনি রচনা করেছেন। প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ: ১৯৭৬ সালে গল্প সংকলন ‘দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া। প্রকাশক বর্ণ মিছিল, ঢাকা। বাংলা একাডেমির ফেলাে। দেশের বিশিষ্ট সব পত্রপত্রিকায় লিখেছেন প্রচুর। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাব্যবস্থাপক। তাঁকে পেশাগত কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরতে হয়েছে। তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ইকো সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ স্বর্ণপদক, নওয়াব সলিমুল্লাহ পদক, জসীমউদদীন স্মৃতি সংসদ পুরস্কার, হােসেন আরা শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ছােটদের কাগজ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, লুবনা জাহান সাহিত্য পুরস্কার, ইউরাে শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং নওয়াব ফয়জুননেসা স্বর্ণপদক, চন্দ্রাবতী শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নাম রিদয়, কিন্তু ছেলেটা আসলে ছিল হৃদয়হীন। যাকে বলে একেবারে বিচ্ছু ছেলে। নষ্টামি করেই দিন কাটত তার। মানুষ বল, পশুপাখি বল, কীটপতঙ্গ বলÑসব্বাই অতিষ্ঠ তার জ্বালাতনে। একদিন সেই বিচ্ছু রিদয় গণেশঠাকুরের পিছনে লাগল। এতে ভীষণ রেগেমেগে গণেশঠাকুর অভিশাপ দিলেন। দেখতে-না-দেখতে বুড়ো আঙুলের মতো ভয়ানক ছোট হয়ে গেল রিদয়। শেষাবধি যক হয়ে গেল সে। হায় হায়, কী করবে এখন রিদয়? গণেশঠাকুরের শাপে যক হয়ে যাওয়া রিদয় তারপর যা করল আর যা দেখলÑতাই নিয়েই এই কৌতূহলকর উপন্যাস, ‘বুড়ো আংলা’। এই কাহিনী দিয়ে লেখক পরিচয় করিয়ে দেন মাঠ-নদী-বন-পাহাড় দিয়ে গড়া অপরূপ এক বাংলাদেশের সঙ্গে। পরিবেশ বিষয়ক এমন অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস বাংলা শিশুসাহিত্যে বিরল।