অল্পবয়সী হাসিখুশি স্বপ্নবিলাসী মেয়ে মীম নােশিন নাওয়াল খান। জন্ম ৬ জানুয়ারি। খুব ছােটবেলা থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। প্রকৃতিপ্রেমী মীমের লেখার উৎসাহ, প্রেরনা ও বিষয়বস্তু প্রকৃতি, সঙ্গে মিশেছে অনেকটা কল্পনা আর খানিকটা সমাজ ও পরিবেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও বাৎসরিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যগাজিনে লিখছে নিয়মিত। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছে বিভিন্ন পুরষ্কার। উল্লেখযােগ্য পুরষ্কারের মধ্যে রয়েছে “প্রথম আলাে ঐতিহ্য গােল্লাছুট গল্প লেখা প্রতিযােগিতা ২০০৯ সালে, অন্যতম সেরা, ২০১১ সালে “ক” গ্রুপে প্রথম স্থান, ইউসিফ প্রদত্ত মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস, ২০১০ ও ২০১৪ সালে প্রিন্ট মিডিয়া সৃজনশীল অনুর্ধ্ব ১৮ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরষ্কার, ২০১১ ও ২০১৬ সালে মনােনয়ন, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে দ্বিতীয় পুরষ্কার, ছােটদের মেলা সেরা শিশু লেখক পুরস্কার ২০১৪। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজীতেও লেখে মীম। তার স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়ােজিত হে ফেস্টিভ্যাল ক্রিয়েটিভ রাইটিং কম্পিটিশনে জিতে নিয়েছে অন্যতম সেরার পুরষ্কার। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মীম লিখছে বাইরের অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায়ও। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শিশু কিশােরদের ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে তার কিছু লেখা। আলােকচিত্র ও ছবি আঁকাতে দক্ষ মীমের ঝুলিতে এই বিষয়গুলােতেও নানা পুরষ্কার রয়েছে। নিজের দুটি বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে আত্মপ্রকাশ করেছে প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবেও। লেখালেখি, সাংবাদিকতা, আলােকচিত্র, ছবি আঁকা, বিতর্ক ও হাতের কাজ করা মীমের পছন্দের বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সােসাইটি আয়ােজিত ২য় আলােকচিত্র উৎসব ২০১৫ তে স্কুল লেভেলে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে সে। এছাড়া ২০১৩ সালে ইয়থ লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার থেকে ইয়থ লিডারশিপের উপর গ্রাজুয়েশন করেছে মীম। টেনসা হাই আইকিউ সােসাইটির একমাত্র বাংলাদেশি সদস্য। বর্তমানে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এ সর্বকনিষ্ঠ নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করছে সে।