সুফিয়া খালার ব্যবহারে বুঝতে পারলাম এবার বাড়িতে আমার জায়গা নেই। দৌড়ে পগারপার হতেই সামনে কয়েকজন টহল পুলিশ পড়ে গেল। আমার গালে জোরে এক চড় কষে বলল, তোকে যেন এই এলাকায় না দেখি। আমি নিজের গালে হাত দিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। কান ঝিনঝিন করছে। আমার অপরাধটা কী বুঝতে পারলাম না। জিজ্ঞেস করার মতো সাহসও নেই। অন্য গালে আর এক চড় বসিয়ে দিলে দু-কানই বন্ধ হয়ে যাবে। টহল পুলিশ নিজেদের মধ্যে কথা বলছে, স্যার মালটা চালান করে দেব না-কি? আরে না। দেখছিস না মাগি ছাওয়াল, শেষে বিপদে পড়ে যাব। কত বড় সাহস ওর, পুলিশের ওয়াকিটকি ভাঙে!
আমি সাহস করে বললাম, ওয়াকিটকি আবার কখন ভাঙলাম? ওটা তো আমার হাতেই লাগেনি। আপনিই বরং আমাকে থাপ্পড় মেরে কান বন্ধ করে দিয়েছেন। মনে হচ্ছে এক কান নিয়েই আমাকে বাঁচতে হবে।
দেখেছেন স্যার, কত সাহস আবার তর্ক করে।
স্যার টাইপের পুলিশটা নরম গলায় বলল, বাদ দেন, জানেন তো ওটা তার ছেঁড়া।
নিশাত ইসলাম
নাম : নিশাত ইসলাম
জন্ম : ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮২
শৈশব : চট্টগ্রাম
শিক্ষা : এমবিএ, আইআইইউসি (ঢাকা ক্যাম্পাস)।
পেশা : শিক্ষক, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট
পুরস্কার : চাঁদপুর গ্রুপ থিয়েটার পরিষদের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার-১৯৯৯। সাহিত্যে অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার-২০০৭ প্রদান করে আইআইইউসি (ঢাকা ক্যাম্পাস)। বাংলার সংগীত সংগঠন কর্তৃক প্রদত্ত সেরা লেখিকা পুরস্কার-২০১৭। ইনডেক্স মিডিয়া স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০১৭।
প্রকাশিত গ্রন্থ : কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনি ও উপন্যাস ৩২টি।
উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : ক্ষমা, ভালােবাসার কাজল, এখনাে অনেক রাত, নষ্ট জীবনের কষ্ট, নীরব ভালােবাসা, বিবর্ণ বেলা, ভালােবাসি তাই, পালকি, নষ্ট মন, ভালােবাসার সাত রং, সূর্যোদয়ের দেশে, মন (১ম ও ২য় খণ্ড)। তবু ভালােবাসি, অন্তরে শুধু তুমি, জয় বাহিনী, ভূত মামা।