ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ‘পরস্ত্রী’ (দাই নেইবার’স ওয়াইফ) হচ্ছে আমেরিকার বিবাহিত নারী ও পুরুষের বেডরুমের বন্ধ দরজার পেছন থেকে যৌনতাকে বাইরে নিয়ে এসে তা এক বিকাশমান শিল্পে পরিণত করার কাহিনী। এই কাহিনী রচনা করতে গিয়ে গে ট্যালেসি ম্যাসেজ পার্লার, নীল ছবি ও দলীয় যৌনমিলনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে ভ্রমণ করেছেন বিচক্ষণতার সঙ্গে। তার উপন্যাসে তিনি আরো তুলে এনেছেন পুরুষের ফ্যান্টাসির জগতকে প্রলুব্ধ করে ‘স্কু’ ও ‘পেন্টহাইস’সহ হিউ হেফনারের ‘প্লেবয়’ পত্রিকা ও প্লেবয় সম্রাজ্য গড়ে তোলার চাঞ্চল্যকর উপাখ্যান। পাশাপাশি আরও বর্নিত হয়েছে লেখক ও যৌনতার গুরু অ্যালেক্সকমফোর্টের যৌন পর্যবেক্ষণ এবং জন উইলিয়ামসনের বউ বদলাবদলির অপরাধহীন মানসিকতার সত্য কাহিনী।
এই উপন্যাসে পৃথিভীর বহু বিখ্যাত বহু নিষিদ্ধকৃত উপন্যাসের পুনপ্রকাশের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। আরো বর্ণনা করা হয়েছে পুনপ্রকাশের পরপরই তা আবার বাজেয়াপ্ত করা এবং প্রকাশককে গ্রেফতার, জেল ও পরিমানার ঘটনাসহ আইন সংশোধন করার প্রক্রিয়া। কিন্তু অশ্লীলতার সংজ্ঞ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। সেন্সরশীপের হাত থেকে তখন কেউই রেহাই পেত না। তবে পঞ্চাশ বছরেও আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের আদালত অশ্লীলতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে পারেনি। উল্লেখ্য, উনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে সারা পৃথিবীজুড়ে অশ্লীলতা একটা বিতর্কিত বিষয় এবং আজও তা অমীমাংসীত।