বিদ্বানরা বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজন আরও গণতন্ত্র। কিন্তু বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র এত গভীরে শেকড় গেড়ে বসেছে যে, চিহ্নিত অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো তো বটেই, গণতান্ত্রিক নামধারীরাও গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের জন্য উদ্যত। গণতন্ত্রের নামে দলতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও ব্যক্তিতন্ত্রের দেখাই মেলে সর্বত্র। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নয়, আখের গোছানোর ধান্দায় ব্যস্ত। নিজেদের স্বার্থেই তারা ঐক্যবদ্ধ, স্বার্থে বাধা পড়লেই শুধু মাঠে নামে প্রতিবাদ করতে। বিদ্যমান পরিস্থিতি খুব বেশি আশা সঞ্চার করতে পারছে না। হতাশাজনক এ অবস্থায় গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সংহতির কথাও ইদানীং কম শোনা যায়। হয়তো সর্বব্যাপ্ত হতাশা অনেককে চুপ করিয়ে দিয়েছে। হয়তো অনেকেই বলা বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন; কিন্তু সবাই কি চুপ হয়ে গেছেন? না, কেউ কেউ বিরামহীনভাবে বলে চলেছেন। ক্লান্তি, অবসাদ, হতাশা তাদের গ্রাস করতে পারেনি। আশাবাদী সেই সমালোচকদের মধ্যে আবু সাঈদ খান অন্যতম। গণতন্ত্রের জন্য তার অকুণ্ঠ ও অকপট ভাষ্য ক্ষমতাসীন ও বিরোধী কারও জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। কিন্তু সাধারণের জন্য প্রয়োজনীয়। ‘প্রত্যাশিত গণতন্ত্র ও বিবদমান রাজনীতি’ বলা সে কথাগুলোরই সংকলিত রূপ।
আবু সাঈদ খান
আবু সাঈদ খান। মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। জন্ম : ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। মা : রিজিয়া খান, বাবা : আবদুর রশীদ খান। জন্মস্থান : বিভাগদী, ফরিদপুর। পেশা : সাংবাদিকতা। প্রকাশিত গ্রন্থ : বিকল্প চিন্তা বিকল্প রাজনীতি, উপেক্ষিত মুক্তিযুদ্ধ উপেক্ষিত জনগণ, ভাষার লড়াই, মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুর, মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র : ফরিদপুর (সম্পাদনা), রাজনীতির কালাকাল, স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি, জাপানদর্শন, রাজনীতির তিন অধ্যায় এবং দিনবদলের রাজনীতি, প্রশ্নবিদ্ধ রাজনীতি ও সমকালীন সমাজ