শাপমোচন
বুক রিভিউ ১৭ বইয়ের নাম:শাপমোচন লেখক: ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় প্রকাশক:দি স্কাই পাবলিশার্স। প্রথম প্রকাশ: ২০১৪খ্রি. পৃষ্ঠা:১১১ মুদ্রিত মূল্য: ২০০টাকা . উপন্যাশের মূল চরিত্রে মহেন্দ্র নামের এক যুবক,অন্ধ বড় দাদা দেবেন্দ্র, বৌদি অপর্ণা আর ভ্রাতুষ্পুত্র খোকন সহ চার জন আছে মহেন্দ্রের পরিবারে।মহেন্দ্র অর্থনৈতিক অবস্থা লেখক একটি বাক্য দিয়ে বর্নণা করেছেন এভাবে ,"বাঙালি মহাপূজার আনন্দে ব্যস্ত আর সে একটা তুচ্ছ মাটির প্রদীপের আলোও জ্বালাতে পারে না"মহেন্দ্রের এক মাত্র আশার আলো ভ্রাতুষ্পুত্র খোকন।খোকনকে প্রচন্ড ভালোবাসে সে।তাকে মানুষ করার জন্য কোনো কিছুই করতে রাজি মাহেন্দ্র। তাই সে কলকাতা শহরে যায়।সেখানে মহেন্দ্রকে তার বাবা ক্ষেত্রনাথের বন্ধু উমেশবাবু, উমেশবাবুর স্ত্রী সহ সকলেই আন্তরিক ভাবে গ্রহন করে। উমেশবাবুর ছোট মেয়ে মাধুরীর সাথে মাহেন্দ্রর বন্ধুত্ব হয়।যা পরে সুন্দর প্রেম কাহিনীতে রুপ নেয়।মাধুরীর বাড়িতে তাদের প্রেমের বিয়ষটা জেনে যায় এবং মাধুরীকে পাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। হঠাৎ করে মাহেন্দ্রে পালিয়ে যায় মাধুরীদের বাড়ি থেকে।কিন্তুু কেনো?মহেন্দ্র কি পারে তাদের অভাব ঘুচিয়ে খোকনকে মানুষ করতে?এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে। . কাহিনীর বর্ণনা অদ্ভুত ঘোর লাগানো সুন্দর।প্রতিটি চরিত্রের বর্ণনা মুগ্ধ হওয়ার মতো।লেখক ভালবাসাকে অনেকটা জটিল উপাখ্যান হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বইটি আমার কাছে সেরা উপন্যাস গুলোর একটি। . ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় জন্ম:১৯০৪ সালের ৭ ই মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা গ্রামে। তার নামে ২০০৭ সালে এই গ্রামের একটি পাড়ার নামকরণ করা হয় 'ফাল্গুনী পল্লি।তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা বাঙালি লেখক ,ঔপন্যাসিক ও বঙ্গলক্ষী মাসিকপত্রের সম্পাদক।এটি তার ছদ্মনাম। তার আসল নাম তারাপদ।তার বিখ্যাত উপন্যাস চিতা বহ্নিমানও শাপমোচন, এই দুটি উপন্যাস তার পাঠক সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ১৯৫৫ সালে শাপমোচন উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র নির্মান করা হয়েছে। তার রচিত উপন্যাস, চিতা বহ্নিমান, শাপমোচন, আকাশ বনানী জাগে (১৯৪৩) আশার ছলনে ভুলি (১৯৫০) বহ্নিকন্যা (১৯৫১) ভাগীরথী বহে ধীরে (১৯৫১) মন ওময়ূরী (১৯৫২) জলে জাগে ঢেউ(১৯৫৪) মীরার বধূয়া (১৯৫৬) স্বাক্ষর (১৯৫৭) চরণ দিলাম রাঙায়ে (১৯৬৬) বধূ ফুলশয্যার রাত ফাল্গুনী অমনিবাস শ্রেষ্ঠ উপন্যাসসমগ্র। মৃত্যু:২৫ এপ্রিল , ১৯৭৫ সাল। # বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯