আশ্চর্য এক টিকটিকি! ভাবতেই হয়ে গেল একটি আরজিনা। আরজিনা থেকে গুইসাপ। গুইসাপ থেকে কুমির। আবার কুমির থেকে হয়ে গেল বিরাট ডাইনোসর। টসটস আর টকটক দুটো আম। সারা দিন শুধু ঝগড়া করে বেড়াতো। ঝগড়া করতে করতেই শেষে একদিন গাছ থেকে ওরা ঝরে গেল। তবু ওরা বন্ধু হতে পারলো না। কৃষকের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধান গাছের ফাঁকে লুকিয়ে ছিল ছোট্ট একটি আগাছা। সময় থাকতে আগাছা উপড়ে ফেলা নিয়ম। কিন্তু— যথাসময়ে না উপড়ানোতে আগাছা বেড়ে একদিন পুরো মাঠ দখল করে নিলো। ফুল মাত্রই সুন্দর! সুগন্ধময় অপরূপ সুষমামণ্ডিত। তবু ফুলরাজ্যে ফুলেরা একদিন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিল। শিল্পীপাখি বাবুই সুন্দর বাসা বানিয়ে প্রমাণ করেছিল সময় শ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করলে সকল কাজই নন্দিত হয়। সফল ও সার্থক হয়। এমনি মজাদার পাঁচটি গল্প নিয়ে রচিত জসীম আল ফাহিম এর গল্পগ্রন্থ শিল্পীপাখি।
জসীম আল ফাহিম
জন্ম ১৯৭৯ সালের ৩১ আগস্ট। পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর গ্রামে। পিতা মোহাম্মদ আবদুল হাবিজ। মাতা ফাতেমা বেগম। লেখালেখি করেন ছোটবেলা থেকেই। গল্প লিখেন। উপন্যাস লিখেন। ছড়া-কবিতা লিখেন। বর্তমানে তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটি সিলেটে কর্মরত। লেখালেখির স্বীকিৃতিস্বরূপ জসীম আল ফাহিম ইউনিসেফ কর্তৃক ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০০৭’ এবং কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট কর্তৃক ‘কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পদক ২০০৯’ অর্জন করেন। শিশুকিশোরদের জন্য তার প্রকাশিত বই গল্পগ্রন্থ: ফুলখুকি, ঘাসফড়িঙের জন্মদিন, দুষ্টুমামা মিষ্টিমামা, পরীকুমার, জলপরী, কাঠবিড়ালী পিংকি, ছয় ডিটেকটিভ, কল্পমেঘের গল্প, ফুল পাখি আর প্রজাপতি, ঝিনুক কুমার, শিল্পী পাখি, পিউ আর পরীরানী এবং আবীরের গল্প। উপন্যাস: ভূচং ও চূচং, আনুপাগলীর মুক্তিযুদ্ধ এবং তৃণলতা।