ভাষাবিজ্ঞানের উপর প্রকাশিত এটি আমার সপ্তম বই। পাঠক সমাজে ভাষাবিজ্ঞানের উপর এটির আগে প্রকাশিত আমার বইগুলির চাহিদা আমাকে এ বইটি লিখতে অনুপ্রাণিত করে । আরেকটি কারণ হল, বাংলাদেশে বাংলায় সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের উপর পূণাঙ্গ কোন বই নেই। ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক রাজীব হুমায়ুন সমাজ ভাষাবিজ্ঞান শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেন। তবে বইটি একটি পূর্ণাঙ্গ সমাজ বিজ্ঞানের বই বলা যায় না। তবে বাংলাদেশে বোদ করি সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের উপর এটিই প্রথম বই। বাংলা সমাজ ভাষাবিজ্ঞান করেন রাজীব হুমায়ুনই। আমি রাজীব হুমায়ূনের অনুবাদটি গ্রহণ করে আমার বইয়ের নামকরণ করেছি সমাজ ভাষাবিজ্ঞান। আগেই বলেছি বাংলাদেশে সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের উপর কোন বই নেই। তবে রাজীব হুমায়ূনের বই থেকে জানতে পেরেছি, ভারতের পশ্চিম বঙ্গে সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের উপর কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তবে পশ্চিম বঙ্গের লেখকদের বই পড়ার সুযোগ আমার হয়নি। আমি আমার বইটি পাশ্চাত্যের লেখকদের বই ও গবেষণাসমূহের উপর ভিত্তি করেই লিখেছি। তবে তাঁদের কোন একইট বইতে সকল তথ্য পাওয়া যায় না। আমার এ বইতে সকল তথ্য পাওয়া যায় না। আমার এ বইটিতে বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে। যা হোক, আশা করি বইটি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের কাজে লাগবে।