শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য ব্যায়াম অপরিহার্য। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে এন্ডোরফিন নামক হরমোন রিলিজ হয়, যা মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম করে এবং ভালোলাগার অনুভূতি জাগ্রত করে।
সুস্থতায় ব্যায়াম বইটিতে মূলত থেরাপিউটিক ব্যায়াম বা কোন ব্যথায় কোন ধরনের ব্যায়াম করলে ভালো থাকা যায় সেসব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রায় এক যুগ ধরে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে রোগীদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে লেখক দেখেছেন যে, কিছু কিছু ব্যায়াম বাড়িতে করলেই ব্যথার প্রাথমিক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই বইটিতে ছবিসহ প্রতিটি ব্যায়ামের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বইমেলা ২০১৯ সালে সুস্থতার ব্যায়াম বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পাঠকদের ভালোবাসায় বইটি বেহুলাবাংলা’র বেস্ট সেলার পুরস্কার পেয়েছিল।
বইটির দ্বিতীয় সংস্করণে আরও নতুন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ের ওপর থেরাপিউটিক ব্যায়াম যুক্ত করা হয়েছে।
উম্মে শায়লা রুমকী
"পিতা: মো. সালেক আহমেদ মাতা: জাহানারা বেগম জন্ম: রাঙ্গামাটির মাইনীমুখ। বাবার সরকারি কর্মসূত্রে শৈশবের কিছু সময় কেটেছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এবং বেশির ভাগ সময় চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি প্রথম বিভাগে পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদ থেকে ফিজিওথেরাপি বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট (ইসিডি) মাস্টার্স করে ২০১৩ সালে গড়ে তুলেছেন ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (পিটিআরসি) নামে একটি অত্যাধুনিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, চাইল্ড ডেভেলপমেন্টাল থেরাপিসহ জনগণকে সচেতন করতে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রামে আমেরিকান ফেলোশিপ পান। বর্তমানে লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ফিজিওথেরাপি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নানাবিধ সমস্যার সমাধান ও সচেতনতা সৃষ্টি করে চলছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কাজ করে চলছেন।